জানেন, নাইকির পণ্য সামগ্রী কেন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে মার্কিন মুলুকে?

কলিন কোপারনিকের অভিযোগ ছিল মার্কিন প্রশাসনের আচরণে বর্ণবিদ্বেষের ছাপ স্পষ্ট। ২০১৬ থেকে একাধিকবার জাতীয় সঙ্গীতের মাঝে হাঁটু মুড়ে প্রতিবাদ করেছেন কেপারনিক।

কলিন কোপারনিকের অভিযোগ ছিল মার্কিন প্রশাসনের আচরণে বর্ণবিদ্বেষের ছাপ স্পষ্ট। ২০১৬ থেকে একাধিকবার জাতীয় সঙ্গীতের মাঝে হাঁটু মুড়ে প্রতিবাদ করেছেন কেপারনিক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নাইকের বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদে সরব সোশাল মিডিয়া

সবে একদিন আগেই সামনে এসেছে তাদের নতুন বিজ্ঞাপন। ক্রীড়া পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা নাইকি-র বিজ্ঞাপনী প্রচারে এবার নতুন মুখ। মার্কিন জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় কলিন কেপারনিক। হ্যাঁ, সেই কেপারনিক, যাঁকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল গত ২০১৬ সালে। জাতীয় ফুটবল লিগের ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন কলিন হাঁটু মুড়ে বসেছিলেন।

Advertisment

সেটা ছিল কলিনের প্রতিবাদ। মার্কিন দেশে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কলিনের অভিযোগ ছিল মার্কিন প্রশাসনের আচরণে বর্ণবিদ্বেষের ছাপ স্পষ্ট। ২০১৬ থেকে একাধিকবার জাতীয় সঙ্গীতের মাঝে হাঁটু মুড়ে প্রতিবাদ করেছেন কেপারনিক।

Advertisment

এবার সেই কলিন কেপারনিক হয়েছেন নাইকির প্রচারের মুখ। তারপর থেকেই মার্কিন নাগরিকদের দিক থেকে শুরু হয়েছে অন্যরকম প্রতিবাদ। নাইকি-র জুতো পুড়িয়ে, মোজা ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। সোশাল মিডিয়াও বাদ পড়েনি তা থেকে। দিনভর টুইটারে বন্যা বয়েছে নানা প্রতিবাদী পোস্টের।

অধিকাংশের বক্তব্য, কলিন জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছেন। অতএব তিনি 'দেশদ্রোহী'। স্বভাবতই কলিন কেপারনিক প্রচারের মুখ হয়ে উঠলে তা মেনে নেননি মার্কিন নাগরিকদের বড় একটা অংশ।

কেউ বলছেন নাইকি-কে তাঁরা বয়কট করবেন।

কেউ বলছেন সবে একজন নাইকির লোগো ছিঁড়ে ফেলেছেন মোজা থেকে। এবার কয়েক হাজার মানুষের পালা, নাইকি যেন তৈরি থাকে।

বিরুদ্ধ মতও নেই তা নয়। নেটিজেনদের একাংশ হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন এমন ঘটনাকে। কেউ পাশে দাঁড়িয়েছেন কলিনের। দেশের প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অর্থ যে দেশকে অসম্মান করা নয়, তা বলছেন অনেকেই।