রাজপথে এবার দেখা যাবে না বাংলার ট্যাবলো। সোচ্চার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গবাসীর 'যন্ত্রণা'র কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা জন্য চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই পথে হেঁটেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনও। এবার সেই চিঠির জবাব দিতে আসরে নামলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। হিন্দিতে লেখা চিঠিতে, রাজনাথ সিং সাফ জানিয়েছেন যে, ২৬ জানুয়ারি বিজয়চকে কোন রাজ্যের ট্যাবলো নির্বাচনের দায়িত্ব কেন্দ্রের নয়, বিশিষ্টজনদের নিয়ে গড়া নিরপেক্ষ কমিটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই বিষয়টি চূড়ান্ত করে।
Advertisment
ট্যাবলো বাতিলের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজনাথ সিং তাঁর চিঠিতে লেখেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে আমরা শ্রদ্ধা করি। সেই সম্মান স্মারক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবস ঘোষণা করেছেন। এবার থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপনের শুরুই হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে। চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। বর্তমান সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা রাজনাথ সিংয়ের চিঠিতে লিখেছেন, 'আমি আপনাকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করতে চাই প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যে সব ট্যাবলো অংশ নেয় তা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শিতা কাজ করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিদ্বজ্জনেদের সমিতি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে পাঠানো প্রস্তাব খুব ভালভাবে দেখে তারপরই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়। এই চয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়েছিল।'
রাজনাথ সিংয়ের দাবি, ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাবের মধ্যে ১২টিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই চিঠির পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যাবলো নিয়ে আর কোনও দ্বিধা থাকবে না বলেই আশা প্রকাশ করেন রাজনাথ সিং। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকেও এদিন চিঠি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
পাল্টা তৃণমূলের মহাসচিব বলেছেন, 'পিআইবি যে চিঠি পাঠিয়েছে তা অত্যন্ত অপমানকর। এরা দেশের ইতিহাসকে অবমাননার চেষ্টা করছে।'