'কেন বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা করছে না বেসরকারি হাসপাতাল?' কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

বুধবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত।

বুধবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
মমতার ডাকে সর্বদলীয় বৈঠক-মেডিকেল কলেজে চুরি-খুলছে কালীঘাট মন্দির-সাইকেলে ভরসা রাজ্যবাসীর

প্রতীকী ছবি

দেশে প্রতিদিনই ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে কোভিড-১৯ ভাইরাসে। সেই আবহে 'কেন বেসরকারি হাসপাতালগুলি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করছে না?' সেই প্রসঙ্গে বুধবার কেন্দ্রকে প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisment

বুধবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এসএস বোপান্না এবং হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চের তরফে এই মামলার শুনানি করা হয়। কেন্দ্রের কাছে 'বেসরকারি/কর্পোরেট হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় সম্পর্কিত নিয়মকানুন জানতে চাওয়া হয়েছিল'। সেই মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে বলা হয় যে সব বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা চলছে সেগুলি চিহ্নিত করে খুব কম মূল্যে অথবা সম্ভব হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে।

আইনজীবী শচীন জৈনের আবেদনের শুনানি করে বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে অনেক বেসরকারী হাসপাতালকে বিনা মূল্যে বা নামমাত্র ব্যয়ে জমি দেওয়া হয়েছে। তাই বর্তমানে দেশের এই অবস্থায় "হাসপাতালগুলির নিখরচায় চিকিৎসা করা উচিত"। সরকারের পক্ষ থেকে সলিসিটার তুষার মেহতা জানান যে এখানে বেশ কিছু নীতিগত বিষয় জড়িত রয়েছে। তবে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

Advertisment

উল্লেখ্য, গত মাসেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে বেসরকারি পরীক্ষাগারে কোভিড -১৯ পরীক্ষা নিখরচায় করা উচিত। তবে তা নিয়ে জলঘোলা হতেই পরীক্ষাগারগুলির আবেদনের পর আদালত তার নির্দেশ সংশোধন করে। পরবর্তী নির্দেশে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে এই বিনামূল্যের সুবিধা কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী জন স্বাস্থ্য যোজনা (পিএমজেএই)-এর আওতাভুক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণি পেতে পারে। বাকিদের ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষার উর্ধ্বতম সীমা ধার্য করা হয় ৪৫০০ টাকা।

তবে সম্প্রতি বেশ কিছু হাসপাতাল কোভিড-১৯ রোগীদের বিল 'অনেকটা বৃদ্ধি' করেছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান আইনজীবী শচীন জৈন। এমনকি বিমা সংস্থাগুলিও মোট টাকার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা না দেওয়া শুরু করেছে। এই ঘটনাগুলিকে গুরুতর আখ্যা দিয়ে আইনজীবীর যুক্তি, "এটি ভারতের একটি উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত। দেশের বেশিরভাগ লোকেরই বীমা করা নেই। সরকারি প্রকল্পেও অনেকে উপকৃত হন না। তাই আদালতের জরুরি হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন ছিল।"

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus supreme court