Advertisment

Babri Masjid: বাবরি মসজিদ দান করে দেওয়াই ছিল মুসলিমদের কাছে কাম্য

Sangh Parivar: অযোধ্যা ছিল পথের একটি স্টেশন মাত্র। চূড়ান্ত গন্তব্য হল হিন্দু রাষ্ট্র। যাকে হিন্দু-মুসলিম সংঘাত হিসেবে চিহ্নিত করে সংঘ পরিবার বড় সুবিধা আদায় করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Why Muslims should have gifted away the Babri Masjid , বাবরি মসজিদ দান করে দেওয়াই ছিল মুসলিমদের কাছে কাম্য

বাবরি মসজিদ (ফাইল ছবি)

(লেখক জাভেদ আনন্দ- ইন্ডিয়ান মুসলিম ফর সেকুলার ডেমোক্রেসির আহ্বায়ক এবং সাবরাং ইন্ডিয়া অনলাইনের সহ-সম্পাদক)

Advertisment

Babri Masjid Muslims: ১৯৮৬ সাল থেকে জঙ্গি হিন্দুত্বের জয়যাত্রাকে ধারণ করার ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর নিদারুণ ব্যর্থতার বিষয়ে অনেক লেখা ও বলা হয়েছে। ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস থেকে আমরা এখন যেখানে পৌঁছেছি, তা হল- একটি প্রকৃত হিন্দু রাষ্ট্র। এতদিন পর্যন্ত মুসলিম ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা সম্পর্কে খুব কম কথাই লেখা বা বলা হয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন মসজিদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার আগে এবং পরবর্তীতে মুসলিম বিরোধিতার আগে একটি হিংসার ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল (বোম্বে ১৯৯২-৯৩, গুজরাত ২০০২)।

আরও পড়ুন- Ayodhya: অযোধ্যার রামসেবকপুরম, সেখানে রাখা পাথরে কেন মাথা ঠেকাচ্ছেন ভক্তরা?

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে, অযোধ্যা নিয়ে সংঘাত যখন অতল গহ্বরের দিকে চলে গিয়েছিল, সংসদ পাশ করেছে উপাসনার স্থান (বিশেষ বিধান), আইন ১৯৯১। বিজেপি এবং শিবসেনা ব্যতীত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি দ্বারা সমর্থিত নতুন আইনটি একটি ব্যতিক্রম বলা চলে। সেসময় বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিরোধ আদালতে বিচারাধীন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে একটি উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্র যেভাবে বিদ্যমান ছিল, সেভাবেই বজায় থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক ছিল। কোনও ব্যক্তি কোনও স্থানকে ধর্মান্তরিত করতে পারবে না। কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনা বা তার কোনও অংশকে একই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একটি ভিন্ন অংশের উপাসনাস্থলে বা একটি ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বা তার কোন বিভাগের উপাসনাক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এমনটাই ছিল আইন।

আরও পড়ুন- ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, মালদ্বীপের চেয়ে লাক্ষাদ্বীপ কেন ভালো?

এক মাস পরে, ১৯৯১ সালের অক্টোবরে, আমি একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম যা সানডে অবজারভার পত্রিকায় (বর্তমানে নেই) শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল। সেটা ছিল: 'কেন মুসলমানদের এখন মসজিদটি উপহার দিতে হবে।' আমার প্রধান যুক্তি ছিল এই, সংঘ পরিবারের এজেন্ডা অযোধ্যার একটি মসজিদে সীমাবদ্ধ ছিল না। অযোধ্যা ছিল পথের একটি স্টেশন। চূড়ান্ত গন্তব্য হিন্দু রাষ্ট্র। প্রকৃত যুদ্ধ ছিল ভারতের দুটি আমূল বিরোধী ধারণার মধ্যে। ধর্মনিরপেক্ষ ভারত নাকি হিন্দু রাষ্ট্র? হিন্দু-মুসলিম সংঘাত, সংঘ পরিবারের বড় সুবিধাজনক হিসেবে কাজ করেছে। আমি আহ্বান জানিয়েছিলাম, মুসলমানদের এই ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়। দুঃখজনকভাবে, সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব অবিকল সেই ভুলটাই করেছেন।

Parliament supreme court Babri Mosque Ram Temple
Advertisment