লন্ডনে গ্রেফতার জুলিয়ান আসাঞ্জ

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনোর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করার পরই আসাঞ্জের আশ্রয় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে দক্ষিণ আমেরিকার এই রাষ্ট্রটি।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনোর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করার পরই আসাঞ্জের আশ্রয় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে দক্ষিণ আমেরিকার এই রাষ্ট্রটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
WikiLeaks founder Julian Assange arrested in UK

জুলিয়ান আসাঞ্জের উইকিলিসের সঙ্গে রাশিয়ান গোয়েন্দাবিভাগের যোগসাজশ আছে বলে মনে করেন মার্কিন তদন্তকারীরা

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জকে গ্রেফতার করল ব্রিটিশ পুলিশ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, সেন্ট্রাল লন্ডনের পুলিশ হেফাজতে ঠাঁই হয়েছে আসাঞ্জের। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্রটি আশ্রয় প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরই এদিনের গ্রেফতার করা হয়েছে আসাঞ্জকে।

Advertisment

মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফে এক বিববৃতিতে দাবি করা হয়েছে, "ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য এমপিএস (মেট পুলিশ সার্ভিস)। ইকুয়েডর সরকার আশ্রয় প্রত্যাহার করার পর সে দেশের রাষ্ট্রদূতই পুলিশকে ডেকে নিয়ে যায় দূতাবাসের অন্দরে"।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গোপন নথি ফাঁস করে ওয়াশিংটন ডিসির কোপের মুখে পড়েন জুলিয়ান আসাঞ্জ। এদিকে, সুইডেনে যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত আসাঞ্জ। এমতাবস্থায় সুইডেনে প্রত্যার্পণ এড়াতে ২০১২ সালে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন জুলিয়ান আসাঞ্জ। কিন্তু, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনোর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করার পরই আসাঞ্জের আশ্রয় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে দক্ষিণ আমেরিকার এই রাষ্ট্রটি। মরেনো অতীতে জানিয়েছিলেন যে ইকুয়েডরের আশ্রয়ের শর্ত ভঙ্গ করেছেন আসাঞ্জ।

গ্রেফতারির খবরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট বলেন, নিগ্রহ করতে পারে বা মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে এমন কোনও দেশের হাতে আসাঞ্জকে যাতে প্রত্যার্পণ করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে ব্রিটেনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

Advertisment

Read the full story in English