উত্তরাখণ্ডে ধর্মীয় পর্যটনে আরও বেশি উৎসাহ দিতে চূড়ান্ত তৎপরতা প্রশাসনের। এবার ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ রুদ্রপ্রয়াগের সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ মন্দিরের মধ্যে একটি রোপওয়ে প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছে। একবার এই পরিষেবা পুরোদমে চালু হয়ে গেলে প্রতি বছর আরও বেশি মাত্রায় পুন্যার্থীদের দল কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে, রোপওয়ে তীর্থযাত্রীদের কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছানোর সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে। বর্তমানে তীর্থযাত্রীদের গৌরীকুন্ড থেকে মন্দিরে ১৬ কিলোমিটার ট্র্যাক করে উঠতে হয়। যার জন্য পুরো দিন সময় লেগে যায়। রোপওয়েতে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছে যাওয়া যাবে। চলতি বছরের ৮ মে কেদারনাথ মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ইতিমধ্যেই ১৪ লক্ষ ৫৯ হাজারের বেশি পুন্যার্থী কেদারনাথ মন্দিরে গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১ লক্ষ ৩ হাজার পুন্যার্থী হেলিকপ্টারে কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন- ‘কালাজাদু বলি’ মামলায় সক্রিয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, একমাসের মধ্যে জবাবদিহির নির্দেশ
কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই রোপওয়ে পরিষেবা দ্রুত শুরু করে দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত তৎপরতা নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এবছরের শুরুতে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল যে রোপওয়ে প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। ইতিমধ্যেই এই রোপওয়ে প্রকল্পটির বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) তৈরি করা হয়েছে। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে পথের জন্য প্রায় ১২০০ কোটি টাকা আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ৫০০ ফুট (৩,৫০০ মিটার) উচ্চতায় রোপওয়েটি চলবে। এটিই হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ রোপওয়েগুলির মধ্যে একটি।
উত্তরাখণ্ড প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ২৬.৪৩ হেক্টর বনভূমি রাজ্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কেদারনাথ মন্দিরে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে এই রোপওয়ে পরিষেবা চলু হলে রাজ্যের পর্যটনের ব্যাপক বিকাশের সম্ভাবনা দেখছেন প্রশাসনিক কর্তারা। যদিও বনাঞ্চলের উপর দিয়ে এই রোপওয়ে পরিষেবা চালুর জেরে এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্টের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদদের একাংশ। তাঁরা রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছেন।