রেলে কর্মী সংকোচন হবে না, শুধু মাত্র কয়েকটি পদ মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জানিয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের ডায়েরেক্টার জেনারেল (এইচআর) আনন্দ এস খাটি। সম্প্রতি রেলের তরফে সংস্থার সব জোন অফিসগুলোকে ৫০ শতাংশ শূন্য পদ বাতিল ও বিভিন্ন পদে কর্মী না নেওয়ার কথা বলা হয়। ব্যয় শংকোচনের জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়। ফলে, ছাঁটাইয়ের প্রমাদ গোনা শুরু হয়। কিন্তু, সেই ভয় উড়িয়ে আনন্দ এস খাটি বলেছেন, 'ছাঁটাই হবে না, কর্মী সম্পদের সদব্যবহার করা হবে।' রেলের কর্মী সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আগেই জানিয়েছিল, বিভিন্ন পদ একত্রে করে দেওয়ার চেষ্টা করছে রেল।
প্রযুক্তির কারণে কিছু পদের কাজের ধরন বদল হবে। এতে কর্মীদের পুনরায় দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে, কিন্তু ছাঁটাই হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন রেলওয়ে বোর্ডের ডায়েরেক্টার জেনারেল (এইচআর) আনন্দ এস খাটি। তাঁর কথায়, 'কর্মী সম্পদের সদব্যবহার করা হবে। সর্বভারতীয়স্তরে রেলের কর্মী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রেল আরও প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষতার পথে চালিত হচ্ছে।'
বুধবার রেলবোর্ড থেকে প্রতিটি জোনাল ম্যানেজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সুরক্ষা ছাড়া রেলের অন্য কোনও বিভাগে আর নতুন পদে লোক নিয়োগ করা যাবে না। ইতিমধ্যেই রেলের যেসব পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া জারি রয়েছে বা যেসব পদের জন্য বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়েছে সেগুলি কোনওভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হবে না।
বর্তমানে রেলের কর্মী সংখ্যা ১২ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৫ জন। রেলের আয়ের ৬৫ শতাংশই কর্মীদের বেতন ও অবসরকালীন ভাতা দিতে খরচ হয়ে থাকে।
ভারতীয় রেলে মোট শূন্য পদের সংখ্যা এখন ২ লক্ষ ৮৭ হাজার। সুরক্ষা বাদ দিলেও শূন্যপদের সংখ্যাটা প্রায় ২ লক্ষ। তার ৫০ শতাংশ তুলে দেওয়া মানে ১ লক্ষ পদের বিলুপ্তি।তা সেই সব শূন্যপদ বিলুপ্ত হলে বর্তমান কর্মীদের ঘাড়ে বিপুল কাজের বোঝা চাপবে। যাত্রী পরিষেবাও হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা করছেন রেলকর্মীরা। রেলে কর্মী সংকোচনের প্রক্রিয়া অবশ্য এর আগেই শুরু হয়েছে। রেলের তরফে সার্কুলার জারি করে জানানো হয়েছে, যাঁরা ৩০ বছরের বেশি চাকরি করে ফেলেছেন, তাঁদের কর্মদক্ষতা বিবেচনা করে দেখা হবে৷ Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন