নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ সরে এলেন রামদেব। জানালেন, দ্রুত করোনার টিকা নেবেন তিনি। এছাড়া, চিকিৎসকদেরও 'ঈশ্বরের দূত' বলে সম্বোধন করেন এই যোগগুরু। সকল দেশবাসীকে বিনামূল্যে কেন্দ্রের করোনা টিকাকরণের সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে 'ঐতিহাসিক' বলে জানিয়েছেন রামদেব।
কী বলেছেন রামদেব?
বৃহস্পতিবার হরিদ্বারে এক অনুষ্ঠানে রামদেব বলেন, 'সকলে করোনা টিকার র দু’টি ডোজই নিন। সঙ্গে যোগ ও আয়ুর্বেদের চর্চা করুন। এতেই আপনারা জোড়া সুরক্ষা বলয়ে থাকবেন। সংক্রমণে কারোর প্রাণ যাবে না।' এরপরই তিনি বলেছেন, 'খুব তাড়াতাড়ি করোনার টিকা নেব।' সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে এর আগে যোগগুরু জানিয়েছিলেন যে, যোগাসন ও আয়ুর্বেদ চর্চা করলেই হবে। টিকা নেওয়ার কোনও দরকার নেই তাঁর। এতেই সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়।
তবে তাতেও থেমে থাকেননি রামদেব। বিতর্ক উস্কে তিনি অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকে কটাক্ষ করেছিলেন। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়েই বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন যোগগুরু। প্রশ্ন তুলে তিনি জানতে চান, 'অ্যালোপ্যাথি বহু পুরনো রোগের ওষুধ তৈরি করতে পারেনি কেন? কেন করোনায় চিকিৎসকরা অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন?'
আরও পড়ুন- Tamilnadu: ১৩ জুন মমতা ব্যানার্জির বিয়ে! পাত্র কে, দেখুন বিয়ের কার্ডে
রামদেবের এই মন্তব্যে চিকিৎসকদের সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানায়। যোগগুরুর দাবি, চিকিৎসক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের মর্যাদাহানি বলে আদালতের দ্বারস্থ হয় চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। রামদেবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি দেয় চিকিৎসকরা। এরপর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের তরফে রামদেবকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে রামদেবের ওই মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। যার পাল্টা চিঠিতে রামদেব জানিয়েছিলেন যে, আ্যালোপাথি নিয়ে করা নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করছেন তিনি।
এরপরই বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশ্ংসা শোনা যায় রামদেবের গলায়। তিনি বলেছেন, 'কোনও সংস্থারই বিরুদ্ধে আমি নই। চিকিৎসকরা প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীতে ঈশ্বর প্রেরিত দূত। তবে কোনও কোনও ডাক্তার ব্যক্তিগত ভাবে ভুল কাজ করতেই পারেন।' রামদেব আগের অবস্থান থেকে সরে এসে বলেন, 'জরুরিকালীন চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথিই সেরা। এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন