'CAA বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তর প্রদেশে চলা গন্ডগোলে সম্পত্তি ভাঙচুরে জরিমানা আদায় নোটিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে', শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানাল উত্তর প্রদেশ সরকার। এর আগে এই নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য বিদায়ী যোগী সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সেই সময়সীমা শুক্রবারই শেষ। এদিনই শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো সেই সব নোটিশ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়ে দিল উত্তর প্রদেশ সরকার।
বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীনই সুপ্রিম কোর্টের কড়া অবস্থানের মুখে পড়তে হয় উত্তর প্রদেশের বিদায়ী বিজেপি সরকারকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশেও ব্যাপক বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছু সরকারি সম্পত্তিতেও বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনা পরবর্তী সময়ে এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ভাঙচুরে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জরিমানার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। এমনকী সরকারের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নোটিশও জারি করা হয়। সেই নোটিশই ফিরিয়ে নিতে যোগী সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।
শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ উত্তর প্রদেশ সরকারের। সব নোটিশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন সুপ্রিম কোর্টে উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, পরবর্তী সব প্রক্রিয়া একটি নতুন আইন তৈরির পরিপ্রেক্ষিতে হবে। সেই আইনের অধীনে গঠিত ট্রাইব্যুনালগুলিতে এটি পাঠানো হবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভের পরে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি পুনরুদ্ধারের জন্য জারি করা ২৭৪টি নোটিশই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে রাজ্যের দাখিল গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন- আহমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার রায়দান, ফাঁসির সাজা ৩৮ জনের
এর আগে চলতি মাসের ১১ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশ সরকারকে জানায়, CAA বিক্ষোভে জরিমানা আদায় সংক্রান্ত নোটিশগুলি আদালতের দেওয়া নির্দেশিকাগুলি লঙ্ঘন করেছে। ওই দিন বিচারপতিদের বেঞ্চ উত্তর প্রদেশ সরকারের আইনজীবীকে আরও বলেন, ''আমরা এই নোটিশগুলি বাতিল করে দেব। তারপরে আপনি নতুন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার স্বাধীনতা পাবেন। আগামী শুক্রবার আমাদের বলুন আপনি কি করতে চান।”
শীর্ষ আদালতের সেই অবস্থানের পরপরই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে বিদায়ী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শেষমেশ নির্ধারিত সময়সীমার শেষ দিনেই আদালতের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ উত্তর প্রদেশ সরকারের।
Read story in English