Advertisment

Bilkis Bano case: প্রাণনাশের হুমকি! প্রধান বিচারপতিকে চিঠি মামলার প্রধান সাক্ষীর

মুক্তিপ্রাপ্ত রাধেশ্যাম শাহের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
‘Done as per law’, Pralhad Joshi defends release of Bilkis rape convicts

ছবির বাঁদিকে, বিলকিসের ধর্ষকরা। ডানদিকে, বিলকিস বানো।

‘চরম আতঙ্ক’! অপরাধীদের মুক্তির পরই প্রাণে বাঁচতে বিলকিসের গ্রাম রাধিকপুর ছাড়ছেন মুসলিমরা। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি বলে প্রমাণ হল। বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তি নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। বিলকিস বানো মামলায় সদ্য মুক্তি পাওয়া আসামীরা গ্রামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে এবং প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে বলে ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতকে চিঠি লিখে জানালেন গণধর্ষণ মামলার এক প্রধান সাক্ষী বছর ৪৫-এর ইমতিয়াজ ঘাঞ্চি।

Advertisment

২০ সেপ্টেম্বর তিনি তার লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘মুক্তি পাওয়া অপরাধীরা তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি একই সঙ্গে লেখেন এমন পরিস্থিতিতে তিনি আতঙ্কিত’। পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, “আমি জানতাম এরকম কিছু একটা ঘটবে। গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর গ্রাম থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলাম সেই সময় রাধেশ্যাম শাহ আমাকে দাঁড় করান এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তিনি বলেন, আমি একটি বাইকে ছিলাম। রাধেশ্যাম আমাকে ইশারায় তার কাছে যেতে বলে, আমি প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও পরে তার কাছে যাই। সে আমাকে বলে, এখন আমরা বাইরে, একই সঙ্গে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি গ্রামে ঢুকতেও বারণ করে”।

আরও পড়ুন: < এইমসে ঘুঘুর বাসা! চিকিৎসায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে সিলমোহর, বদলি চিকিৎসক >

২০০২ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসায় জ্বলে উঠেছিল গুজরাতে। নিশানা করা হয়েছিল সংখ্যালঘুদের। গোধরা পরবর্তী সময়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বাবিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যকে হত্যার নারকীয় ঘটনা ঘটে। তারপর প্রবল লড়াই। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মুম্বইয়ের আদালত। ১ জনের মৃত্যু হলে বাকি ১১ জনের হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ।

সুপ্রিম রায়ে দোষীসাব্যস্ত ১১ জন অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ২০১৭ সালের মে মাসে বম্বে হাইকোর্ট ১১ জন ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখে। ২০১৭ সালের মে মাসে বম্বে হাই কোর্ট ১১ জন ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজাই বহাল রাখেছিল। বিলকিসকেও ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের জন্য গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয়। এরপর গত ১৫ অগাস্ট গোধরা সাব-জেলের উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদনে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই ১১ অপরাধীকে। এদের বেশিরভাগের বাড়িই রাধিকপুর গ্রামে। জেলে থেকে সাদরে এদের গ্রামে বরণ করা হয়। এআইএমআইএম সভাপতি এবং লোকসভা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দোষীদের মুক্তির প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।

Bilkis Bano Justice UU Lalit
Advertisment