Advertisment

দেখে নেওয়া যাক ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দু'টি সন্তানের নীতি

আসাম ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত যাদের দু'টির বেশি সন্তান রয়েছে তারা ২০২১ সাল থেকে রাজ্য সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দু'টি সন্তানের নীতি কার্যকর।

'হাম দো, হামারে দো'। প্রখ্যাত এই কথার নড়চড় হলেই বিপত্তি। আসাম ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত যাদের দু'টির বেশি সন্তান রয়েছে তারা ২০২১ সাল থেকে রাজ্য সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। শুধু আসামেই নয়, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই ধরণের আইন রয়েছে।

Advertisment

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন রাজ্যের কি বিধি...

রাজস্থান: দু'য়ের বেশি সন্তান থাকলে কোনও ব্যক্তি এরাজ্যেও সরকারি চাকরির আবেদনের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হন। ১৯৯৪ এর রাজস্থান পঞ্চায়েতরাজ আইন অনুশারে দু'য়ের বেশি সন্তান থাকলে সেই ব্যক্তি পঞ্চায়েত প্রধান পদে ভোটে লড়তে পারবেন না। তবে, বিজেপি ক্ষমতায় এসে এই আইন কিছুটা শিথিল করেন। বলা হয়, দুটির মধ্যে একজন সন্তান যদি প্রতিবন্ধী হয় সেক্ষেত্রে তিন সন্তানে আপত্তি নেই।

আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় অপ্রকাশিত ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২৫ বিভাগের তথ্য, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

মধ্যপ্রদেশ: ২০০১ সাল থেকে এখানে দ্বিসন্তানের বিধি লাগু রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ সিভিল সার্ভিস আইন অনুশারে, কোনও ব্যক্তির তৃতীয় সন্তান যদি ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারির পরে জন্মে থাকে তবে তিনি সরকারি কাজের জন্য় অযোগ্য। উচ্চা বিচারবিভাগে চাকরির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বলবৎ রয়েছে। এই রাজ্যে ২০০৫ পর্যন্ত স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বিসন্তান বিধি কার্যকর ছিল। তবে, বহু আপত্তি ওঠায় বিজেপি সরকার বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রত্যাহার করে।

তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ: এই দুই রাজ্যেও দু'টির বেশি সন্তান হলে ওই ব্যক্তি পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। ১৯৯৪ সালের পঞ্চায়েতরাজ আইন অনুশারে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়।

আরও পড়ুন: সরকারি ভাবে বিসিসিআই সভাপতি হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

গুজরাট: ২০০৫ সালে স্থানীয় প্রশাসন বিধি সংশোধন করা হয়। সেখানে বলা হয়, যদি দুয়ের অধিক সন্তান থাকলেও কোনও ব্যক্তি পঞ্চায়েত, পুরসভা ও কর্পোরেশন ভোটে লড়তে পারবেন।

মহারাষ্ট্র: এই রাজ্যের জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি আইন অনুশারে যাদের দুয়ের বেশি সন্তান তারা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভাটে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ২০০৫ সালে এই আইন কার্যকর করা হয়। এছাড়া বলা হয়, দুটির বেশি সন্তান হলে রাজ্য় সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যাবে না। এক্ষেত্রে মহিলারা সরকারি গণবণ্টন পক্রিয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।

আরও পড়ুন: কাঠুয়া ধর্ষণ মামলায় গঠিত সিট সদস্যদের বিরুদ্ধেই এফআইআরের নির্দেশ

উত্তরাখণ্ড: দুয়ের বেশি সন্তান থাকলে পঞ্চায়েত ভোটে লড়া যাবে না। এই মর্মে বিধানসভায় বিল পাস হয় উত্তরাখণ্ডে। কিন্তু, হাইকোর্টে এই নয়া আইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আদলত নির্দেশ দেয়, আইনটি জেলে পরিষদ ও সমষ্টি উন্নয়ন কমিটির সদস্য পদের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে শুধু প্রযোজ্য হবে।

কর্ণাটক: ১৯৯৩ সালের কর্ণাটক স্বরাজ ও পঞ্চায়েত আইনে এই ধরণের কোনও নির্দেশ ছিল না। তবে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির বাড়ি উন্মুক্ত শৈচালয় থাকলে সে ও তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন না।

ওডিশা: জেলা পরিষদ আইনে বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তির দু'টির বেশি সন্তান থাকলে সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

Read the full story in English

national news
Advertisment