রক্ষকই ভক্ষক! স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী এক মহিলা। সেই সময়ই পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর অভিযোগকারিনীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। তিন ধরে ধরে মহিলার সঙ্গে পৈশাচিক আচরণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনা রাজস্থানের আলোয়ারের। সোমবার এই ঘটনা জানাজানির পরই হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, থানা চত্বরে অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের ঘরেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২রা মার্চ নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে থানায় আসেন নির্যাতিতা মহিলা। সেই সময়ই এই পৈশাচিক আতরণের মুখোমুখি হলে হয় তাঁকে।
আলোয়ারের পুলিশ সুপার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, '২০১৮ সালে পণ নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ওই মহিলা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল। পরে ওটা মিটে যায়। কিন্তু নির্যাতিতার বয়ান অনুসারে বর্তমানে তাঁকে ডিভোর্স কতে চায় ওর স্বামী। এতেই বেঁকে বসেছেন ওই মহিলা। সেই প্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করতে থানায় এসে অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের মুখোমুখি হন ওই মহিলা।'
নির্যাতির অভিযোগ, মধ্য পঞ্চাশের এক পুলিশ অফিসার ও সেকেন্ড অফিসার তিন দিন ধরে (২-৪ মার্চ) এই দুষ্কর্ম করেছেন। এই ঘটনার রবিবারই এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ সুপারের কথায়, 'এই খবর জানাজানির পরই অভিযুক্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে এইআইআর হয় ও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত ধৃত পুলিশ হেফাজতে। নির্য়াতিতা মহিলা একটি ফোন রেকর্ডিংয়ের দিয়েছেন, যা এই মামলার প্রাথমিক প্রমাণ বলে গণ্য হচ্ছে।' থানার স্টেশন হাউস অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
ইন্সপেক্টর জেনারেলের অফিস থেকে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পুলিশ লাইনে এক বছরের বেশিদিন রয়েছেন এমন সব পুলিশ কর্মচারীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন