প্রতিদিনের মত ব্যস্ত মেট্রো স্টেশন। একের পর এক মেট্রো, স্টেশনে ঢুকছিল। আবার চলেও যাচ্ছিল। ভিড়ও সেভাবেই কখনও কমছিল। কখনও আবার বাড়ছিল। তার মধ্যেই শোনা গেল এক মহিলাকে চিত্কার করতে। আরেক যাত্রীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করতে। সেই যাত্রীও যেন কী একটা করলেন ওই মহিলা সহযাত্রীকে। কিন্তু, বাকি যাত্রীদের সেদিকে নজর দেওয়ার কোনও সময়ই নেই। নিজেদের নিয়েই তাঁরা ব্যস্ত থাকলেন। মেট্রো আসতেই উঠে পড়লেন।
বাধ্য হয়ে ওই মহিলা শেষ পর্যন্ত ছুটে যান মেট্রোর আরপিএফের দিকে। কিন্তু, ততক্ষণে অভিযুক্ত মেট্রোয় উঠে চলে যায়। এই যুক্তিতে আরপিএফও যেন বিষয়টা এড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। ওই মহিলা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তার কাছে একটা ঠিকানা জানতে চেয়েছিল। তিনি সেই সময় তিনি স্টেশন থেকে ফোনে একটি ক্যাব বুক করছিলেন। তাই অভিযুক্তকে কিছুই জানাতে পারেননি। কিন্তু, তারপরই ওই ব্যক্তি তাঁকে উদ্দেশ করে অঙ্গভঙ্গি করে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী।
আরও পড়ুন- ফের গণধর্ষণ! গাড়িতে তুলে চরম নির্যাতন কিশোরীকে, রাজনৈতিক চাপে গ্রেফতারিতে বাধা
এই ব্যাপারে অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, 'যেইমাত্র আমি ওই সব দেখলাম, হতভম্ব হয়ে পড়ি। প্ল্যাটফর্মে একজন পুলিশকর্মী ছিলেন। তাঁর কাছে গেলাম অভিযোগ জানাতে। কিন্তু, তিনি আমাকে কোনও সাহায্যই করলেন না। উলটে বললেন, উপরে গিয়ে মেট্রো আধিকারিকদের ব্যাপারটা জানান। সেকথা শুনে আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠে এসে মেট্রোর অন্য পুলিশকর্মীদের ব্যাপারটা জানালাম। আমি তাঁদের বললাম, আমাকে সিসিটিভি রুমে নিয়ে চলুন। আমি অভিযুক্তকে দেখিয়ে দিতে পারব। তাঁরা এরপর আমাকে সিসিটিভি রুমে নিয়ে যান। আমি সিসিটিভিতে গোটা ঘটনাটা দেখিয়ে দিই।'
কিন্তু, ওই মহিলার অবাক হওয়া বাকি ছিল। তিনি সিসিটিভিতে দেখতে পান, অভিযুক্ত অন্য একটি ট্রেনে উঠে চলে যাচ্ছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, 'সেই সময় আমি মেট্রোকর্মীদের বারবার বলতে থাকি, আপনারা লোকটাকে আটকান। ও তো চলে যাচ্ছে। কিন্তু, মেট্রোকর্মীরা উলটে আমাকে বলেন, আপনি সিনক্রিয়েট করবেন না।' এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দিল্লি মেট্রোর নিরাপত্তা নিয়েই বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। এমনটাই মনে করছেন দিল্লি মেট্রোর যাত্রীরা।
Read full story in English