প্রকাশ্যে অন্তরঙ্গ হচ্ছিল যুগল। তার বিরোধিতা করেছিলেন বছর ৩৪ এর ।মহিলা। এতেই জুটল বেদম প্রহার। মে মাসের ২ তারিখের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই।
পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার বিতরণ করে রাত ৮টা নাগাদ সেই মহিলা বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই ঘটে ন্যাক্কারজনক সেই কাণ্ড। তারপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
নিজের এফআইআর-এ তিনি জানিয়েছেন, "আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছিলাম। শ্রমিকদের মধ্যে খাবার বিতরণ করছিলাম এলাকায়। সবার খাওয়া হলে গেলে আমার সহকর্মীরা বাড়ি ফিরে গেলেও আমি একা ছিলাম।" এর পরেই সেই ঘটনার কথা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
অভিযোগকারিণী মহিলা জানিয়েছেন, ২২ বছরের এক ছেলে এবং ২০ বছরের এক মেয়ে প্রকাশ্যেই অন্তরঙ্গ হতে থাকে। "সেই মেয়েটি আমাদের ই এলাকায় থাকে। তাই আমি ওদের কাছে গিয়ে জনসমক্ষে অশালীন কাজকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে বলি। সেই মেয়েটিকে সেকথা বলার পরেই রেগে গিয়ে আমাকে গালি গালাজ করতে থাকে।" নিজের অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন সেই মহিলা।
মেয়েটি গালিগালাজ করলেও ছেলেটি বেদম প্রহার করতে থাকে। শুধু তাই-ই নয়, মেয়েটির ভাই, মা এবং কাকিমা এসে মারধোর চালু রাখে।
পুলিশকে এরপর সেই মহিলা জানান, "অন্ধকার থাকায় পুরো বুঝতে পারিনি। তবে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আরো বিপদের হাত থেকে বাঁচায় আমাকে।"
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী সেই মহিলাকে প্ৰথমে জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাঁর স্বামীকে খবর দেওয়া হয়। স্বামীর পরামর্শ মেনেই এরপর শেউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে বেআইনিভাবে জমায়েত, শাস্তি, ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনে।
শেওরি থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর জানান, আপাতত মহামারীর দিকে ফোকাস থাকায় প্রত্যেকেই ব্যস্ত। তবে অভিযুক্তদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে।