চলন্ত ট্রেনে ৯ বছরের ছেলের সামনেই শ্লীলতাহানির চেষ্টা। বাঁধা দেওয়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলা হল মহিলাকে। যার জেরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠেন বছর ৩২-এর এক মহিলা। ছেলে ও স্ত্রীকে নিতে স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন স্বামী। ট্রেনে ওঠার কিছু সময় পরই মহিলাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। তাত বাঁধা দেওয়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে ছেলের সামনেই ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল মাকে।
মারাত্মক ভাবে জখম হয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তিও ট্রেন থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করায় লাইনে পড়ে জখম হন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গন্তব্য স্টেশনে এসে ছেলের কাছে পুরো ঘটনা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান বাবা। মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, যৌন হেনস্থায় বাঁধা দেওয়ায় মনদীপ কৌর নামে বছর ৩২-এর এক মহিলাকে ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। তাতেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। অভিযুক্ত ব্যক্তি লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করায় ট্রেন থেকে পড়ে জখম হন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: < বৃদ্ধাকে লাঞ্ছনা! নিন্দায় সরব আদিত্য ঠাকরে, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিযোগকারিণী >
কী ঘটেছিল?
নারওয়ানা থেকে মায়ের হাত ধরে ট্রেনে উঠেছিল বছর নয়েকের এক বালক এবং মহিলাকে ট্রেনে একা দেখেই তার সঙ্গে আশালীন আচরণ করেন এক ব্যক্তি। ছেলের সামনেই মহিলার শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয়। মহিলা বাঁধা দিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
মৃত মনদীপ কৌরের স্বামী হরজিন্দর জানান, “গত কয়েকদিন ধরে তার স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে মামার বাড়িতে ছিলেন, এদিনই তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার ট্রেনে উঠে আমাকে ফোন করে স্টেশনে আসতে বলেন, আমি স্টেশনে এসে ছেলে ও স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে ছেলেকে দেখলেও আমি স্ত্রীকে খুঁজে না পাওয়ায় ছেলের কাছ থেকে পুরো ঘটনা শুনি। এই ঘটনায় আমার ছেলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরপর আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করি”।
ঘটনা প্রসঙ্গে হিসারের জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারি নরেশ কুমার জানিয়েছেন, ওই মহিলা তাঁর ছেলের সঙ্গে বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠেন। প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি দিল্লি থেকে তোহানা যাচ্ছিল। বেশিরভাগ যাত্রী পূর্ববর্তী স্টেশনে নেমে যাওয়ায় ট্রেনটি মোটামুটি ফাঁকাই ছিল সেই সুযোগেই এক ব্যক্তি মহিলার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। মহিলা বাঁধা দেওয়ায় তাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। তোহানা স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন মহিলার স্বামী। মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ”