Bengaluru: ছেলেকে খুন করে পুলিশের কাছে সন্তান নিখোঁজের অভিযোগ। সেই অভিযোগের সূত্রে তদন্তে নেমে মাকেই সন্তান হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ। শহরের এমআইসিও থানা সূত্রে খবর, ‘নাবালক ওই শিশুকে মা এবং তাঁর দুই সহযোগী মিলে নির্যাতন করে খুন করেছেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এই ঘটনা ঘটলেও প্রায় ছ’মাস পর পুলিশের দ্বারস্থ হয় মিসিং এফআইআর করেন মহিলা। সেই অভিযোগের সুত্র ধরে তদন্তে নেমেই এই গ্রেফতারি।‘
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসেই তামিলনাড়ুর বারগুর থেকে উদ্ধার করা হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় নাবালকের মৃতদেহ। তামিলনাড়ু পুলিশ দেহ উদ্ধারের সময় নাবালকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পেয়েছিল। মাথা থেতলানো, মুখে লঙ্কার গুড়ো এবং শরীরে পোড়ার দাগ। নৃশংস এই ঘটনা চোখে পড়তেই তামিলনাড়ু পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। তারপর ৬ মাস কেটে গেলেও অজ্ঞাতপরিচয় দেহের পরিচয় এবং শিশু হত্যার পিছনে কে? খুঁজে পেতে হিমশিম খায় তামিলনাড়ু পুলিশ। এদিকে, অগাস্টে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ সন্ধানে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এরপরেই সেই অজ্ঞাত পরিচয় নাবালক মৃতদেহের পরিচয় মেলে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের। জানা যায়, নাবালকের মা, বাবার থেকে পৃথক থাকেন। সুনীল নামে এক যুবকের সঙ্গে সেই মহিলার সম্পর্ক। এবং দুজনে একসঙ্গেই থকানে। কিন্তু এই সম্পর্কে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় মহিলার সন্তান ওই নাবালক।
এরপরেই পরিবারের সদস্যদের তথ্যে অসঙ্গতি মেলায় সুনীলকে আটক করে পুলিশ। সে-ই জেরায় সবকিছু স্বীকার করেন। বেঙ্গালুরু পুলিশের তদন্তে জানা যায়, শহরেই খুন করে ভাড়া গাড়িতে করে মৃতদেহ পাচার করা হয় তামিলনাড়ুর বারগুরে। সেখানেই সেই নাবালকের দেহ রেখে ফের বেঙ্গালুরু ফিরে আসেন অভিযুক্ত মহিলা, তাঁর প্রেমিক সুনীল এবং সুনীলের পরিচিত এক মহিলা। ইতিহাস ঘেঁটে এরপর পুলিশ জানতে পারে অপরাধের পুরনো ইতিহাস রয়েছে সুনীলের।
এরপরেই এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনের পুলিশ। তামিলনাড়ুতে উদ্ধার নাবালকের দেহ এবং মহিলার করা সন্তান নিখোঁজ অভিযোগের ভিত্তিতে উঠে আসা ব্যক্তি এক। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন