বিচারাধীন মহিলা আইভিএফ-এর অনুমোদন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রায় ছয় বছর জেলে থাকার পরও সন্তান ধারণের জন্য পারিবারিক চাপের কথা উল্লেখ করে ওই মহিলা আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি বেসরকারি হাসপাতালে আইভিএফ চিকিৎসা করাতে চান। অভিযুক্ত শীতল শেগাওঁকর এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালত জানিয়েছেন, যদি তার আবেদন মঞ্জুর করা হয় তবে এটি বিচারে অসুবিধার কারণ হবে।
বাইকুল্লা জেলে বন্দী মঞ্জুলা শেঠির হত্যার দায়ের গ্রেফতার হওয়া ছয় জেল কর্মীর মধ্যে একজন শীতল শেগাওঁকর আদালতের কাছে বেসরকারী হাসপাতালে ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)-এর চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার, শুনানির সময়, তিনি আদালতের কাছে আইভিএফ-এর মাধ্যমে গর্ভধারণের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
তাঁর আইনজীবী নিতিন সেজপাল জানানর’বয়স বাড়ার কারণে তিনি গর্ভধারণ করতে পারবেন না এবং সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন না এই আশঙ্কায় তিনি নিজেই আবেদনটি করেছেন’।
আইনজীবী জানিয়েছেন “তিনি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার বয়স বাড়ছে। তার স্বামী ও পরিবার সন্তান ধারণের জন্য তাকে চাপ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে আদালতের কাছে আবেদনে জানানো হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তার জামিনও হয়নি। এই পরিস্থিতিতে, তিনি IVF এর মাধ্যমে গর্ভধারণের অনুমতি দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ করেছেন,”।
এর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মনীষা পোখরকর সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়েছিলেন, দাবি করেছিলেন যে তার শ্বশুরবাড়ি এবং তার স্বামী তার কাছ থেকে একটি সন্তান চান এবং তাই তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের এই আবেদন করছেন। আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।
অভিযোগ অনুসারে পোখরকর, বিন্দু নায়েকদে, ওয়াসিমা শেখ, শেগাওঁকর, সুরেখা গুলভে এবং আরতি শিংনে বাইকুল্লা জেলে বন্দী মঞ্জুলা শেট্টিকে মারধর করেন, যার ফলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ২৩শে জুন। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ তাকে বাথরুমে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেলে ঘটনাটি জানা যায়। পুলিশ ২৫ জুন, ২০১৭ এই মামলায় FIR দায়ের করে।