/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/08/ngega-1.jpg)
একশ দিনের কাজে উল্লেখযোগ্যহারে কমল মহিলাদের অংশীদারিত্ব
করোনাকালে একশ দিনের কাজে মহিলাদের অংশীদারিত্ব উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। সরকারি তথ্য অনুসারে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে (২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ) জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে কর্মদিবসের প্রেক্ষিতে মহিলাদের অংশীদারিত্ব ৫২.৪৬ শতাংশ, যা গত আট বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।
এনআরইজিএস পোর্টালে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত দেওয়া পরিসংখ্যান মোতাবেক ২০১৩-১৪ সালে একশ দিনের প্রকল্পে মহিলাদের অংশীদারিত্ব ছিল ৫২.৮২ শতাংশ। বর্তমানে যা ৫২.৪৬ শতাংশ। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২.২৪ শতাংশ কম। কর্মদিবসের বিচারে দেশের প্রায় ১৩.৩৪ কোটি মানুষ একশ দিনের কাজে অংশ নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে মহিলা কর্মীর সংখ্যা ৬.৫৮ কোটি (৪৯ শতাংশ)।
সরকারিভাবে এই ক্রমহ্রাসমানতার কারণ ব্যাখ্যা না করা হলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, মন্দা অর্থনীতি ও লকডাউনে বিপুল পরিমান পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাই মহিলাদের একশ দিনের কাজে অংশীদারিত্ব কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে যে, এ বছর দেশজুড়ে একশ দিনের প্রকল্পে নির্ধারিত কর্মদিবসের সংখ্যা ২৮০.৭২ কোটি। ইতিমধ্যেই ১৮৩ কোটি কর্মদিবসের কাজ হয়েছে। যা গ্রামীণ অর্থনীতির দুর্দশাকেই সূচিত করছে।
দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একশ দিনের কাজে মহিলাদের অংশীদারিত্ব কমেছে। তবে উল্টো পথে হেঁটে ১৪টি রাজ্যে এর পরিমান সামানন্য হলেও বেড়েছে। জাতীয়স্তরে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে এনআরইজিএস প্রকল্পে মহিলাদের অংশীদারিত্ব কমার হার ২.২৪ শতাংশ। সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশ, বাংলা ও তেলেঙ্গানায় মহিলাদের অংশীদারিত্ব কমেছে যথথাক্রমে ৩.৫৮, ৩.৩২ ও ২.৬২ শতাংশ। এছাড়া ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর, আন্দাবান নিকোবর, উত্তরাখণ্ড ও সিকিমেও মহিলাদের কাজে যোগদানের সংখ্যা কমে গিয়েছে।
অন্যদিকে আবার, মিজোরাম, মণিপুর, গুজরাট, গোয়া, কেরালা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড, আসাম, পণ্ডিচেরি, ত্রিপুরা, ওড়িশ্যায় মহিলাদের একশ দিনের কাজে যোগদানের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন