'রাতে একা বেরনো উচিত হয়নি', বদায়ুঁ ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতাকেই কাঠগড়ায় তুললেন মহিলা কমিশনের সদস্য

ঘটনার চার দিনের মাথায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত গ্রামেরই এক পুরোহিত।

ঘটনার চার দিনের মাথায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত গ্রামেরই এক পুরোহিত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chandramukhi-Devi

"সন্ধ্যা রাতে মহিলাদের বাড়ির বাইরে একা বেরনো উচিত নয়। একা বেরনোর জন্যই মহিলাদের ধর্ষণের শিকার হতে হয়", বদায়ুঁ ধর্ষণকাণ্ড (Badaun Gangrape Case) নিয়ে মন্তব্য জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) এক সদস্যর। উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণকাণ্ডে আপাতত এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলেও মহিলা কমিশনের সদস্যের এমন মন্তব্য কিন্তু ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

Advertisment

ফের নির্ভয়ার স্মৃতি উসকে দিল উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে সদ্য হওয়া ধর্ষণকাণ্ড। চলন্ত গাড়িতে মাঝবয়সি এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে ভেঙে দেওয়া হল পাঁজর ও পায়ের হাড়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি ওই ধর্ষিতাকে। সেদিন রাতেই মৃত্যু ঘটে। যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তরপ্রদেশে বারবার এধরনের ঘটনা ঘটার পরও এদিন বদায়ুঁর ধর্ষণকাণ্ডে ময়নাতদন্ত এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গড়মসি করা হয়। এবার সেই রোমহর্ষক ঘটনার প্রেক্ষিতেই জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা চন্দ্রমুখী দেবী যা বললেন, তা রীতিমতো লজ্জাজনক!

৫০ বছর বয়সি ওই মহিলা উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার যে গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হন, বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলেন চন্দ্রমুখীদেবী। সেখানেই এমন মন্তব্য করে বসেন তিনি। তাঁর কথায়, "এটা নিঃসন্দেহে ভীষণই অপরাধমূলক একটি ঘটনা। কিন্তু আমি এটাও বলতে চাই যে, কারও প্রলোভনে বা আহ্বানে কোনও মহিলারই রাত-বিরেতে বাইরে বেরনো উচিত নয়। আমার মনে হয়, ওই মহিলা যদি সন্ধেবেলা একা না বেরতেন, কিংবা তাঁর কোনও এক সন্তানকে সঙ্গে করে নিয়ে বেরতেন, তাহলে বোধহয় আজকের এই দিনটা দেখতে হত না।"

চন্দ্রমুখী দেবীর এমন মন্তব্যে যখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে, তখনই জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ময়দানে নামেন। মুখ খোলেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। চন্দ্রমুখী দেবীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে জোর গলায় তিনি বলেন, "আমি জানি না, কেন তিনি এরকম মন্তব্য করলেন! কিন্তু একজন মহিলার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে, যখন খুশি যেখানে ইচ্ছে যাওয়ার।"

Advertisment

অন্যদিকে, ঘটনার চারদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রামেরই এক পুরোহিত সত্যানন্দকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার অন্য দুই অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই এক শিষ্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সত্যানন্দ। সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।