নবজাগরণের মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরতে কেরালায় ৬২০ কিমির মানবী প্রাচীর

যেসব হিন্দু সংগঠনগুলি শবরীমালা ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সহমত, এদিনের প্রাচীরে অংশ নিয়েছিল কেবল তারাই। মহিলাদের এই উদ্যোগে সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার পুরুষ সমান্তরাল একটি মানব প্রাচীর গড়েছেন।

যেসব হিন্দু সংগঠনগুলি শবরীমালা ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সহমত, এদিনের প্রাচীরে অংশ নিয়েছিল কেবল তারাই। মহিলাদের এই উদ্যোগে সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার পুরুষ সমান্তরাল একটি মানব প্রাচীর গড়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

যেসব হিন্দু সংগঠনগুলি শবরীমালা ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সহমত, এদিনের প্রাচীরে অংশ নিয়েছিল কেবল তারাই।

নবজাগরণের মূল্যবোধ রক্ষা করতে ৬২০ কিমি.-র মানবী প্রাচীর গড়ল কেরালার নারী শক্তি। তিরুঅনন্তপূরম থেকে উত্তর কেরালার কাসারাগোদ জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে লক্ষাধিক মানবীর এই প্রাচীর। মানব প্রাচীরের এই কর্মসূচির পৃষ্ঠপোশকতা করেছে সে রাজ্যের সরকার এবং বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন।

Advertisment

এদিনের মানব প্রাচীরটি শবরীমালা মন্দিরে সব বয়েসের মহিলাদের প্রবেশের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতেই হলেও সরাসরি বিষয়টির কোনও উল্লেখ থাকেনি। যেসব হিন্দু সংগঠনগুলি শবরীমালা ইস্যুতে সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সহমত, এদিনের প্রাচীরে অংশ নিয়েছিল কেবল তারাই। মহিলাদের এই উদ্যোগে সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার পুরুষ সমান্তরাল একটি মানব প্রাচীর গড়েছেন।

আরও পড়ুন- ইয়েস স্যার নয়, জয় হিন্দ বা জয় ভারত!

এই প্রাচীরের কর্মসূচি সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পিনারাই বিজয়ন বলেন, মহিলারা দলে দলে যোগ দেবেন...তা না হলে কেরালাকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকে প্রতিহত করা যাবে না।

Advertisment

উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের গোড়াতেই সিপিআই(এম) পরিচালিত কেরল সরকারের ডাকে বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকেই এই মানব প্রাচীরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এই কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গিয়ে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, "মহিলাদের ইস্যুটিকে শ্রেণী সংগ্রামের অংশ বলেই মনে করে সিপিআই(এম)। রাজ্যের নবজাগরণের ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে এমনই একটা উদ্যোগ (মানবী প্রাচীর) দরকার ছিল"।

Read the full story in English

Sabarimala