ভারতীয় সেনায় কি সুপ্রিম রায়ও ধোপে টিকবে না? এমন প্রশ্নচিহ্নই দানা বাঁধল খোদ সেনাপ্রধানের মন্তব্যে। ক’মাস আগেই এ দেশে সমকামিতা নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ‘সমকামিতা অপরাধ নয়’, একথাই জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই সুপ্রিম রায়ের বাস্তবায়ন অবশ্য ভারতীয় সেনায় বরদাস্ত করা হবে না বলে মন্তব্য করলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। ‘‘সেনাবাহিনীতে আমরা এটাকে মেনে নেব না’’, কার্যত এ সুরেই এদিন মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান। সমকামিতা নিয়ে দেশের সেনাপ্রধানের এহেন আচরণে স্বভাবতই বিতর্ক শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এদিন বিপিন রাওয়াত আরও বলেছেন, সেনাবাহিনীতে এধরনের আচরণ ‘নিষিদ্ধ’। যদিও সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘‘সেনা আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’’ উল্লেখ্য, এ দেশে সমকামিতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে বহু বছর ধরে লড়াই চালিয়ে আসছেন এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষরা। গত সেপ্টেম্বরে সমকামিতা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘‘দেশে সমকামিতা অপরাধ নয়।’’ শীর্ষ আদালতের এই রায়ে নতুন করে যেন জীবন খুঁজে পেয়েছেন এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষরা। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের প্রথম ‘জয়’ বলেও কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে সমকামিতা নিয়ে এমন রায় দিয়েছে, সেখানে সেনাপ্রধানের এমন ‘আপত্তি’ ঘিরে শোরগোল পড়েছে দেশে।
আরও পড়ুন, ধর্মীয় উগ্রপন্থার সঙ্গে যুঝতে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে সোশাল মিডিয়ায়: সেনা প্রধান
অন্যদিকে, তালিবানের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের বিষয়টি দেখতে হলে তালিবানের সঙ্গে এ দেশের আলোচনা করা উচিত। আফগানিস্তানের বিষয়টি মাথায় রেখে যদি বাকি দেশগুলো ওদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে, তাহলে ভারত নয় কেন। তবে কাশ্মীর ইস্যুতে ‘তালিবানি যুক্তি’ খাটাতে চান না সেনাপ্রধান। এ প্রসঙ্গে রাওয়াত বলেছেন, ‘‘আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। আগে বন্দুক ছাড়ুন ও পশ্চিমি প্রতিবেশীদের সমর্থন ছাড়ুন। হিংসার পথ ছাড়লেই আলোচনা সম্ভব।’’
এদিকে, রাওয়াতের এহেন মন্তব্য নিয়ে আসরে নেমেছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যদি সেনাপ্রধান তালিবানদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলতে পারেন, তাহলে আমাদের লোকেদের ক্ষেত্রে তা নয় কেন?
Read the full story in English