ভারত বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত, বারাণসীতে G-20 বৈঠকে অনুষ্ঠানে বিরাট বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর। পাশাপাশি মোদী এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন ভারতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে’। তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, যে ‘G20 উন্নয়ন এজেন্ডা এখন কাশীতে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের জন্য উন্নয়ন একটি বড় সমস্যা। গ্লোবাল সাউথের দেশগুলি বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারী কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কারণে খাদ্য, জ্বালানী ও সার সংকটের কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, এই সংকট গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা । পাশাপাশি তিনি বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতের নারী শক্তির কথাও উল্লেখ করে বলেন, তিনি উল্লেখ করেন, “ভারতে আমরা শুধু নারীর ক্ষমতায়নে সীমাবদ্ধ নই,মহিলারা আজ দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। উন্নয়নের এজেন্ডা নির্ধারণ করছেন”।
মোদী বলেন, ‘আমি খুশি যে G-20-এর উন্নয়ন এজেন্ডা কাশীতেও পৌঁছেছে’ 'আমি খুশি যে আমরা আমার সংসদীয় এলাকা বারাণসীতে বৈঠক করছি। শুধু কাশীই বিশ্বের প্রাচীনতম টিকে থাকা শহর নয়, সারনাথও এখান থেকে অল্প দূরে যেখানে ভগবান বুদ্ধ তাঁর প্রথম ধর্মোপদেশ দিয়েছিলেন। এটি প্রকৃতপক্ষে আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক রাজধানী।'
জি-২০ কালচার ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আটটি দেশের (বাংলাদেশ, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন, নাইজেরিয়া, ইউএই) প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থাও এতে অংশ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে সৌদি আরব, ইতালি, ইন্দোনেশিয়ায়তেও এই কর্মসূচি হয়েছে। ভারত প্রথমবারের মতো জি-২০-এর সভাপতিত্ব করছে।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এমন একটি ভবিষ্যতের জন্য আশা প্রকাশ করেছেন যেখানে সংস্কৃতি কেবল আমাদের পরিচয়ের একটি অংশ নয়৷ বরং এটি হবে উন্নয়ন, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং বৈশ্বিক সম্প্রীতির চালিকাশক্তি।