ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আধিপত্য কমানোর লক্ষ্য পাশাপাশি এসেছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, এবং জাপান। তৈরি হয়েছে কোয়াড গ্রুপও। ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে আমেরিকা নতুন জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কৌশল সামনে এনেছে। যেখানে চীন ও রাশিয়াকে আমেরিকার সবচেয়ে বড় হুমকি হিসাবেই দেখানো হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের মত জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কৌশল আনতে চলেছে ভারত। সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বিভাগের মধ্যে কয়েক বছর ধরে আলোচনা ও পরামর্শের পর, ভারত এখন তার প্রথম জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে কাজ শুরু করেছে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এমনটাই জানতে পেরেছে। যার উদ্দেশ্য হল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত লক্ষ্য এবং সেগুলি অর্জন বা অর্জনের জন্য গৃহীত উপায়গুলিকে একত্রিত করা।
গত কয়েক মাস ধরে, বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের তরফে ভারতের সামনে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও হুমকি সংক্রান্ত ইনপুট দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে আর্থিক নিরাপত্তা, খাদ্য ও শক্তি নিরাপত্তা, যুদ্ধ সংক্রান্ত নিরাপত্তা। পাশাপাশি তথ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত একজন সিনিয়র আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে বিভিন্ন ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নানান অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছে, তখন একটি জাতীয় খসড়া তৈরির প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে। অফিসিয়াল ডকুমেন্ট প্রস্তুত হয়ে গেলে তা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং নতুন হুমকি মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিয়মিত তা আপডেট করা হবে।
এই বিস্তৃত নথিটি ভারতের জন্য অনন্য চ্যালেঞ্জ এবং হুমকিগুলির বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে তাদের মোকাবেলা করার কৌশল প্রণয়ন করবে। এতে বিদ্যমান অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখা হবে।
গত বছর, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে, বলেছিলেন যে ডি-ইনিশিয়েশন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার আগে একটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কৌশল তৈরি করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এটি ভবিষ্যতের যুদ্ধ ও সামরিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে।
এক সপ্তাহ আগে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে, প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন বলেছিলেন যে ভারতের একটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কৌশল বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ