Advertisment

সিএএ প্রতিবাদ: লখনউয়ে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার

"আমার বাবা সমাজের গুরত্বপূর্ণ এবং সঠিক বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন। বহু প্রতিবাদেও শামিল হয়েছেন। এর আগেও বহুবার তাঁকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রথমবার তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Retired IPS officer Sarwan Ram Darapuri

পরিচয় অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার, বয়স ৭৭। লখনউতে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ২০০ জনের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে তিনিও। নাম সারওয়ান রাম দারাপুরি। ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণের পর থেকে তিনি সমাজের সঠিক বিষয় নিয়েই লড়াই করে গিয়েছেন, এমনটাই মত তাঁর ছেলের এবং তাঁর সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁদের সকলের। দুটি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন এই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। যদিও দুটি নির্বাচনেই অসফল হয়েছিলেন তিনি।

Advertisment

আরও পড়ুন: অমিত শাহের ‘ফোন ট্যাপ’ করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার ২

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। সেই বিক্ষুদ্ধ সময়ে পথে নেমেছিলেন সারওয়ান রাম দারাপুরি। গ্রেফতার করা ৩৪ জনের সঙ্গে ১৯৭২ সালের পাস আউট আইপিএস এই অফিসারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩২ ধারা (সরকারী কর্মচারীদের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে স্বেচ্ছায় আহত করা), ৩৫৩ ধারা (সরকারী কর্মচারীদের বাধা দেওয়ার জন্য আক্রমণ বা অপরাধমূলক শক্তি প্রদর্শন), ১৪৭ ধারা (দাঙ্গা), ৩০৭ ধারা (হত্যার চেষ্টা) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-এর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বর্তমানে লখনউ জেলা কারাগারে বন্দি পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলা থেকে আসা সারওয়ান রাম দারাপুরি। ২০০৩ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসাবে অবসর নিয়েছিলেন। কর্মজীবনে তাঁর শেষ পোস্টিং ছিল সীতাপুরের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। অবসর গ্রহণের পরে, তিনি মানবাধিকার এবং নারী, আদিবাসী, দলিত ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচারের আন্দোলনে সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ করে গিয়েছেন। এমনকী ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে রবার্টসগঞ্জ (সংরক্ষিত) আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে অল ইন্ডিয়া পিপলস ফ্রন্টের (র‌্যাডিক্যাল) হয়ে লড়াইও করেছিলেন এই অফিসার।

আরও পড়ুন: দেশের মুসলিমরা মোদী-অমিতের বিরুদ্ধে, হিন্দুবিদ্বেষী নন

বর্তমানে লখনউয়ের ইন্দিরা নগরে বসবাস করেন সারওয়ান রাম দারাপুরি। তাঁর ব্যবসায়ী পুত্র বেদ কুমার (৫০) বলেন, "আমার বাবা সমাজের গুরত্বপূর্ণ এবং সঠিক বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন। বহু প্রতিবাদেও শামিল হয়েছেন। এর আগেও বহুবার তাঁকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রথমবার তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।" রবিবার জেলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা আছে আমাদের।

Read the full story in English

Citizenship Amendment Act
Advertisment