Advertisment

বেশি মারাত্মক এবং সংক্রামক ওমিক্রন! এখনই গা-ছাড়া মনোভাব নয়: কেন্দ্র

Omicron Infection: 'এখনই মুখ থেকে মাস্ক নামাবেন না। ভিড় এড়িয়ে চলবেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। কোভিড রক্ষাকবচগুলো এখনই শিকেয় তুলবেন না।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Christmas Crowd

বড়দিনের আগে পার্ক স্ট্রিটে ক্রিসমাস সেলিব্রেশনের ভিড়। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই, উধাও দূরত্ববিধি। এক্সপ্রেস ফটো

Omicron Infection in India: বিশ্বজুড়ে চতুর্থ ঢেউ চলছে। তাই এখনই আমরা গা ছাড়া দিতে পারি না। দেশবাসীকে সতর্ক করতে রাজ্যগুলোকে এই বার্তা পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শুক্রবার সাপ্তাহিক পর্যালোচনা বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, ‘এখনই মুখ থেকে মাস্ক নামাবেন না। ভিড় এড়িয়ে চলবেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। কোভিড রক্ষাকবচগুলো এখনই শিকেয় তুলবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু বলেছে ডেল্টা প্রজাতির থেকে দাপট বেশি ওমিক্রনের। এই প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতাও বেশি। দেড়-তিন দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আমাদের আরও সতর্ক হয়ে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে।‘

Advertisment

এদিকে, মধ্য প্রদেশের পর উত্তর প্রদেশ কার্যকর করছে নাইট কার্ফু। শনিবার থেকে সে রাজ্যে রাত ১১টা- ভোর ৫টা কার্যকর থাকবে কার্ফু। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে প্রচুর মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা পরবর্তীতে ফের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। তাহলেও লাভ কী হল ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও? যদিও বা ভারতের বুকে দ্বিতীয় ঢেউএর গ্রাসে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবং এই বিষয়েও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই ধারণা দিয়েছে যে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনের প্রভাবে ওমিক্রন ঠেকানো সম্ভব নয়। তাহলে কীরকম হলে ঠিক ছিল? 

WHO এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন ছিল তারপরও এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব ছিল। এবং তাদের মতামত অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রক্রিয়াতেই রয়েছে গাফিলতি। এপ্রসঙ্গে তারা বলেন ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে রাখা উচিত ছিল ফারাক। একেবারেই সময়ের নয়, বরং ভিন্নতার প্রয়োজন ছিল। অর্থাৎ দুটি ডোজ ভিন্ন ব্র্যান্ডের হলেই কাজের হত। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, এমরেনা ভ্যাকসিন গুলি অর্থাৎ মডার্না এবং ফাইজার ক্ষমতায় বেশি, তাই অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ এরই হওয়া উচিত এবং অ্যাস্ট্রজেনেকা দ্বারা নির্মিত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ হলেই সবথেকে ভাল হতে পারে বলেই জানানো হয়েছে। কারণ এই দুটি ভ্যাকসিনের মিলিত প্রভাব থেকেই ইন্যাক্টিভেটেড কোষগুলি নিজের মতো করে সুস্থ হতে থাকে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করে। তবে এই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে চিকিৎসকদের। তাঁরা বলেন সব শরীরের ধাঁচ সমান নয়, রোগের মাত্রাও সমান নয় তাই আগে থেকে মানবদেহের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। দুটি ভ্যাকসিন আলাদা আলাদা শরীরে কার্যকর হতেই পারে তবে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে এটি কীভাবে দৈহিক বিবর্তন ঘটাবে সেই নিয়ে বেশ চিন্তাই থাকছে। 

এর সঙ্গেই থাকছে সময়ের বিরতি নিয়ে সমস্যা! অর্থাৎ কতদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হলে সেটি ভাল? WHO এর রিপোর্ট অনুযায়ী এটির মধ্যে ফারাক অন্যান্য ভ্যাকসিন গুলির মত থাকলেই চলবে তবে মনে রাখতে হবে এটি ফ্লেক্সিবেল ভ্যাকসিন তাই মাত্রা একেবারে সঠিক হতে হবে। আরও জানা গিয়েছে বুস্টার ডোজ তখনই দেওয়া হয় যখন সারাদেশের মানুষের ইমিউনিটি কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। এবং ভারতের বুকে শিশুদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয় নি তাই তাদের সরাসরি বুস্টার দেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

WHO Union Health Ministry Fourth Wave
Advertisment