আজ ২১ জুন। পৃথিবীর দীর্ঘতম দিন। ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যে নামার জানান দিলেও সূর্যমামা কিন্তু বাড়ি ফিরবে দেরিতে। ছোটবেলায় এ নিয়ে বিস্তর পড়াশুনা করলেও বর্তমানে সে জ্ঞানে যে মরচে ধরেছে, বলাই বাহুল্য। তাহলে একটু ঝালিয়ে নেওয়া যাক। ২১ জুনকে ভুগোলের ভাষায় কর্কটক্রান্তি দিবস বলে। ইংরেজিতে একে পালন করা হয় 'সামার সলস্টিস' নামে। পৃথিবীর কর্কট রেখা যা কিনা ২৩.৫ অক্ষাংশ দিয়ে গেছে আর এদিন সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর লম্বভাবে অবস্থান করে। যে কারণে উত্তর গোলার্ধে হয় সবচেয়ে দীর্ঘ দিন। সূর্যকে ২১ জুন মধ্যগগনে প্রায় মাথার উপরে দেখা যায়। ভৌগলিক নিয়ম মেনে কর্কটক্রান্তি দিবসে সূর্য আকাশে থাকবে মোট ১৩ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট ৮ সেকেন্ড। এই একটি মাত্র দিনে সূর্য সর্বোচ্চ উত্তরে পৌছায়, প্রত্যেক বছর ২১ জুনের সাক্ষী থাকে মেস্কিকো, নর্থ আফ্রিকা, ভারত, সৌদি আরব, চীন-সহ আরও বেশ কিছু দেশ।
অনেক দেশ এই দিনটিকে পালন করে থাকে। জার্মানরা এদিন সূর্যকে পুজো করেন, এবং সুইডেনের মহিলারা এবং ইংল্যান্ডবাসীরা সুর্যোদয় দেখেন ফুলের গয়না পরে। ইংল্যান্ডের বহু মানুষ ২১ জুন উপস্থিত হন স্টোনহেঞ্জে। যা তৈরি হয়েছিল প্রায় ২০০০ বছর আগে। যেখানে প্রথম চিহ্নিত করা হয় ২১ জুন তারিখটি। তবে এই ঐতিহাসিক স্তম্ভকে ঘিরে রয়েছে আরও অনেক রহস্য। বছরের এই একটি দিন সূর্যের আলো পৌঁছয় স্টোনহেঞ্জ পাথর বৃত্তের একেবারে মাঝখানে। আর সেই উপলক্ষেই শয়ে শয়ে মানুষ ভীড় জমান স্টোনহেঞ্জে। তবে পৌত্তলিক ধর্মের লোকেদের আনাগোনাই বেশি থাকে।
Longest Day of the Year: ২১ জুন পালন করতে ফুলের গয়না পরে অনেকে উপস্থিত হন স্টোনহেঞ্জে
Longest Day of the Year: স্টোনহেঞ্জ তৈরি হয়েছিল প্রায় ২০০০ বছর আগে