বুধবার প্রকাশিত ইউএনএফপিএর, 'স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট' নিশ্চিত করেছে যে ভারতের জনসংখ্যা চিনকে ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৪২.৮৬ কোটি এবং চিনের জনসংখ্যা ১৪২.৫৭ কোটি।
১৯৯০ সালে, ভারতের জনসংখ্যা ছিল ৮৬.১০ কোটি। সেই তুলনায় চিনের জনসংখ্যা ছিল ১১৪.৪০ কোটি। গত বছর ১৪২.৬০ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে চিন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠেছিল। ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১৪১.২০ কোটি। রাষ্ট্রসংঘের ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৬৬.৮০ কোটিতে পৌঁছবে। যা চিনের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, সেই সময় চিনের জনসংখ্যা কমে হবে ১৩১.৭০ কোটি।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর কার্যনির্বাহী অধিকর্তা পুনম মুত্রেজা জানিয়েছেন, 'চিনকে ছাড়িয়ে যাওয়া ভারতের কাছে কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয়। এটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে যে বিষয়টি প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করেছে, তা হল চীনের মন্থর জনসংখ্যা বৃদ্ধি। চলতি বছরের শুরুর দিকে, চিনের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) রিপোর্টে জানিয়েছে যে এর আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে জনসংখ্যা ৮৫০,০০০ জন কমেছে।'
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কাহিনিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকের একটি হল, 'ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড' এর সুযোগ। ইউএনএফপিএর নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ভারতের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি (৬৮ শতাংশ) ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সিদের নিয়ে গঠিত। যা একটি দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ভারতে যুবকদের (১০-২৪ বছর) জনসংখ্যা ছিল ৩৬.৫০ কোটি। যা ২০২২ সালে রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে তা 2023 সালে বেড়ে ৩৭.৯০ কোটি হবে।
আরও পড়ুন- পাওয়ার বিধায়কদের নিয়ে যোগ দিলে, সরকারে থাকবে না শিণ্ডে সেনা, জানালেন মুখপাত্র
কিন্তু, ভারতে যে পরিমাণ জনসংখ্যা বাড়ছে, তরুণদের সংখ্যা কিন্তু সেই অনুপাতে বাড়বে না। যেমন ২০১১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে তরুণদের জনসংখ্যার অনুপাত মোট জনসংখ্যার হিসেবে ৩০ শতাংশের বেশি ছিল। ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী, সেটাই ২৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।