Kabul Update: বিশ্বব্যাপী ভৌগলিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনে প্রভাবিত হতে পারে ভারতের সার্বিক নিরাপত্তা। বৃহস্পতিবার এমন উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের প্রয়োজন মজবুত, সক্ষম এবং আত্ম-নির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্প। আফগানিস্তানের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেন রাজনাথ সিং।
কোনও প্রসঙ্গের উল্লেখ না করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত গতিতে গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার চিত্র বদলাচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে আমাদের জাতীয় সুরক্ষায়। প্রতিনিয়ত বিশ্বের ভৌগলিক-রাজনৈতিক অবস্থা বদলাচ্ছে।‘ তাঁর মন্তব্য, ‘আমাদের কেবল মজবুত, আধুনিক এবং উন্নত পরিকাঠামোযুক্ত বাহিনী বানালে চলবে না। আমাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকেও উন্নত করতে হবে। আত্মনির্ভর করে গড়তে হবে।‘
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে তালিবানের প্রভাব বাড়তেই সে দেশে সক্রিয় হয়েছে লস্কর-ই-তইবা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক। এদিকে, আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন এবং রাশিয়া। মস্কো আবার দাবি করেছে, সেই দেশে রাজনৈতিক স্থিতি রয়েছে। এই পরিবেশে জঙ্গি কার্যকলাপ পুনর্জীবিত করতে পাকিস্তানের বাইরে বেরিয়ে আফগান মাটি ব্যবহার করতে পারে লস্কর।
ফের তীব্র আকার নিতে পারে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। অস্থির হয়ে উঠতে পারে কাশ্মীর। কারণ মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় যথেষ্ট ব্যাকফুটে আমেরিকা। আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহারে আরও বেশি জমি হারাবে ওয়াশিংটন। সেই ফাঁকা জায়গায় ঢুকে পড়তে পারে চিন এবং রাশিয়া। বিডেন প্রশাসনকে চাপে রাখতে আফগানিস্তান হয়ে উঠতে পারে এই দুই দেশের আঁতুড়ঘর। যার ফাঁকতালে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নির্বিরোধে চালিয়ে যাবে পাকিস্তান এবং পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলো। প্রকট না হলেও প্রচ্ছন্ন মদত মিলবে তালিবানের।
এই সম্ভাবনা জিইয়ে দিয়েই এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। অস্ত্র রফতানির চেয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র উৎপাদন দেশকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও স্বাবলম্বী করবে। এটাই ঘুরিয়ে বার্তা দিলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন