চিনের স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থা Xiaomi Corp অভিযোগ করেছে যে তাদের সংস্থার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে ভারতে অভব্যতা করা হয়েছে। ভারতের আর্থিক অপরাধদমন শাখার আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁদের শীর্ষকর্তাদের মারধর করেছে। এমনকী, হুমকিও দিয়েছে। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই ভারতের আর্থিক অপরাধদমন শাখার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে Xiaomi Corp আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। ভারতে Xiaomi Corp-এর আধিকারিক হলেন মনুকুমার জৈন। আর, চিফ ফিনান্সিয়াল আধিকারিক সমীর বিএস রাও।
তাঁদের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এমনই অভিযোগ Xiaomi Corp-এর। মারধরের পাশাপাশি, ওই কর্তাদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভয়াবহ পরিণতি হবে। যদি তাঁরা আর্থিক অপরাধদমন শাখার আধিকারিকদের ঠিক করে দেওয়া বিবৃতি জমা না-দেন। এমনই হুমকি তাঁদের দেওয়া হয়েছে। গত ৪ মে আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করেছে চিনের স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাটি।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে Xiaomi-র বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় আর্থিক অপরাধদমন শাখা। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় আর্থিক অপরাধদমন শাখা ইন্ডিয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা Xiaomi-র সাড়ে ৭২ কোটি মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে। এই প্রসঙ্গে তদন্তকারীদের দাবি, 'রয়্যালটির' নাম করে বিদেশে বেআইনিভাবে অর্থপাচার করেছে সংস্থাটি। এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দ্বারস্থ হয়েছিল সংবাদমাধ্যম।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ব্যবহার করছে সব দলই, আইনের বিরুদ্ধেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে
অবশ্য, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। Xiaomi Corp-এর আবার দাবি, তারা কোনও বেআইনি কাজ করেনি। সংস্থাটি দাবি করেছে, 'রয়্যালটির' জন্য তাদের অর্থ দিতে হয়। সেটা সম্পূর্ণ বৈধ। বৃহস্পতিবার আদালত Xiaomi-র আইনজীবীর বক্তব্য শুনেছেন। তবে, কেন্দ্রীয় আর্থিক অপরাধদমন শাখার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে কোনও রায় দেয়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১২ মে।
কর্নাটক হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় Xiaomi অভিযোগ করেছে, তাঁদের সংস্থার কর্তা মনুকুমার জৈন ও বিএস রাওকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আর্থিক অপরাধদমন শাখার আধিকারিকরা। আর্থিক অপরাধদমন শাখার নির্দেশমতো বিবৃতিতে সই না-করলে গ্রেফতার, কেরিয়ারের ক্ষতি করে দেওয়া, অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা, মারধর-সহ গুরুতর পরিণতির শিকার হতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
Read story in English