কয়েক সপ্তাহের মধ্যে G-20 শীর্ষ সম্মেলন। তার আগেই নাগারে বৃষ্টির কারণে বানভাসসি দিল্লির বিস্তৃর্ণ এলাকা। কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির পর দিল্লির যমুনা নদী সোমবার সন্ধ্যায় বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বন্যার আশঙ্কায় দিল্লিতে হাজার হাজার মানুষকে নিচু এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দিল্লির যমুনা নদীর স্তর আজ সর্বোচ্চ 208.46 মিটার অতিক্রম করেছে। যা বিপদ সীমা থেকে তিন মিটার উপরে। দিল্লিতে বন্যার আশঙ্কায় নিচু এলাকায় বসবাসকারী ১৬ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন দিল্লির এই পরিস্থিতিকে "চরম পরিস্থিতি" বলে অভিহিত করেছে। যমুনায় জলের প্রবাহ আজ সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে শীর্ষে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গতকাল রাজধানীর পরিস্থিতি পর্যালচনায় একটি জরুরি বৈঠক করেন। এরপরই নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক সঙ্গে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে বন্যা বিশ্বে ভাল বার্তা পাঠাবে না’।
আজ দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলা জলমগ্ন। নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই সপ্তাহে দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বুধবার, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় আরও ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, উভয় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ২১-এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে হরিয়ানাতেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
আবহাওয়া দফতর আজ উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, হরিদ্বার এবং উধমসিংহনগরের কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা এবং হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার, হরিদ্বার, ঋষিকেশ, নরেন্দ্রনগর, দুন্ডা, রুদ্রপ্রয়াগ, নৈনিতাল, সহ একাধিক এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত হয়।