রাষ্ট্রপতি হলে যাতে সিএএ প্রয়োগ ঠেকানো যায়, তা নিশ্চিত করতে চান যশবন্ত সিনহা। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে বৃহস্পতিবার অসমে নির্বাচনী প্রচারে এমনটাই জানালেন তিনি। প্রাক্তন এই বিজেপি নেতার দাবি, মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার তাড়াহুড়োয় বোকার মত সিএএ আইনের খসড়া তৈরি করেছে। তার ফলে এই আইন তারা প্রয়োগ করতে পারছে না।
যশবন্ত বলেন, 'নাগরিকত্ব অসমের অন্যতম প্রধান ইস্যু। সরকার সিএএ গোটা দেশে প্রয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু, পারেনি। এর আগে সরকার সিএএ চালু করতে না-পারার জন্য করোনার অজুহাত দিয়েছিল। কিন্তু, এখনও তারা প্রয়োগ করতে পারছে না। কারণ, তাড়াহুড়োয় সরকার বোকার মত এই আইনের খসড়া তৈরি করেছে।'
সিনহা অভিযোগ করেন, 'বর্তমানে দেশের সংবিধান সংকটে। কোনও বহিরাগত শক্তি না। এজন্য দায়ী খোদ কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। আর, সেই কারণে এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। কারণ, এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আসলে সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। যদি আমি রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে পারি, তবে সিএএ যাতে প্রয়োগ হতে না-পারে, তা নিশ্চিত করব।'
আরও পড়ুন- উলফাপন্থী ফেসবুক পোস্টের দায়ে অসমে জেলবন্দি পড়ুয়া, মুক্তির দাবি পরিবারের
যশবন্ত জানান, তিনি ২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ, এটা বুঝতে পেরেছিলেন যে এই সরকার সম্পূর্ণ ভুল পথে চলছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে যশবন্ত অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান সরকার ও শাসক দল বিকৃত করেছে।
তিনি বলেন, 'ইডি, আয়কর দফতর থেকে সিবিআই, এমনকী রাজভবনকেও কেন্দ্রের বর্তমান সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে। বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোতে এই সব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে হয় বিরোধী দলের সদস্যদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে। নতুবা, বিরোধীশাসিত সরকারগুলোর পতন ঘটাচ্ছে। এজন্য ভারতের বৈচিত্র্যময় সমাজে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। একজাতি, একশাসকের এজেন্ডা গণতান্ত্রিক ভারতকে চিনের অনুকরণ করতে বাধ্য করছে।'
প্রচারে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকেও একহাত নেন যশবন্ত সিনহা। তিনি জানান, এনডিএ পদপ্রার্থী এখনও পর্যন্ত কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি। এই বেশ তিনি রীতিমতো হতাশ। যশবন্ত বলেন, 'দেশবাসী জানেন না, তিনি কোন ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমার দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু, এই নির্বাচন ব্যক্তি বা তার পরিচয়ের ব্যাপার নয়। সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশের জায়গা।'
Read full story in English