প্রার্থনার নামে দুই মহিলাকে যৌন নির্যাতন করতেন যোগগুরু আনন্দ গিরি। এমন অভিযোগেই অস্ট্রেলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের বিখ্যাত বড় হনুমান মন্দিরের একজন জনপ্রিয় স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ও যোগগুরু আনন্দ গিরি। সোমবার সিডনি আদালতে তোলা হয় তাঁকে। ২৬ জুন পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিডনির আদালত।
সংবাদমাধ্যম এসবিএস-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, একই রকমের দুটি পৃথক ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার অক্সল পার্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গিরিকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গিরি ৬ দিনের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। সোমবারই তাঁর ভারতে ফেরার কথা ছিল। এই খবর অবশ্য জানা ছিল দুই অভিযোগকারীর।
পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার রুটি হিলের বাড়িতে ছিলেন গিরি। সেসময় তাঁর বাড়িতে প্রার্থনা করাতে আসেন ২৯ বছর বয়সী এক মহিলা। এরপরই ওই মহিলাকে গিরি হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ৩৪ বছরের এক মহিলার সঙ্গেও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে গিরির বিরুদ্ধে। সে বছর গিরি রুটি হিলের বাড়িতে লাউঞ্জ রুমে ( পার্থনার ঘরে ) পার্থনার নামে ওই মহিলাকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আনন্দ গিরি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, "আমার লক্ষ্য অন্যদের সেবা করা এবং যে করে হোক এই জগৎকে আরও ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। তার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি সেগুলি সরবরাহ করব, আমি যাজক নই, কেবল একজন মানুষ যিনি তার আত্মা খুঁজে পেয়েছেন।" সাময়িকভাবে তার ওয়েবসাইটকে এখন বন্ধ করা হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং, যোগগুরু রামদেবের মতো আরও বিশিষ্ট ব্যাক্তির সঙ্গে ছবি রয়েছে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ।
Read the full story in English