নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ। সেই ক্ষতির মাশুল তুলতে এবার 'বদলা'র রাজনীতিকেই হাতিয়ার করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার যোগী বলেছেন ক্ষতিপূরণ মেটাতে বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি দখল করে তা নিলামে তুলে এই প্রতিবাদের বদলা নেবে তাঁর সরকার। লখনউ এবং রাজ্যের অন্যান্য অংশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পরই এমন মন্তব্য করেন যোগী।
লখনউতে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। এক্সপ্রেস ফোটো- বিশাল শ্রীবাস্তব
আরও পড়ুন: জামা মসজিদে প্রতিবাদ, আটক ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, "লখনউ এবং সম্বলের বহু জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে এবং আমরা কড়া হাতে মোকাবিলা করেছি। জনসাধারণের সম্পত্তির ক্ষতি করার জন্য ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি দখল করা হবে এবং ক্ষতিপূরণের জন্য তা নিলাম করা হবে।" যোগী আরও বলেন, "গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধের নামে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বাম দলেরা আগুন জ্বালাচ্ছে সারা দেশে।"
পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। এক্সপ্রেস ফোটো- বিশাল শ্রীবাস্তব
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পুলিশ-প্রশাসনের লড়াইয়ে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে লখনউ এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চল। পাথর ছুঁড়ে, গাড়ি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোঁড়ে পুলিশ। বৃহস্পতিবারই সব চেয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তর প্রদেশ ও লখনউতে। যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তা উপেক্ষা করেই মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ আটকালে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। মাদেগঞ্জে একটি পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে একাধিক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। লখনউয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীকারী বছর ২৫-এর যুবক মহম্মদ উকিল।
Read the full story in English