Uttar Pradesh: আগে জনগণের টাকায় কবরস্থান তৈরি হত। এখন সার্বিক উন্নয়ন এবং মন্দির নির্মাণ হয়। বৃস্পতিবার এভাবেই পূর্বতন সপা সরকারকে বিধলেন আদিত্যনাথ। পাঁচ বছর আগে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মন্দির এবং মসজিদ প্রসঙ্গ উসকে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফের একটা ভোটের প্রাক্কালে একই প্রসঙ্গ উসকালেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
দীপাবলির আবহে উত্তর প্রদেশে আয়োজিত হচ্ছে দীপোৎসব। সেই অনুষ্ঠানের সূচনায় এদিন সরব হয়েছেন যোগী। তিনি বলেন, ‘উত্তর প্রদেশে পরিবর্তন এসেছে। আগে রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা কবরস্থান তৈরিতে ব্যবহার করা হত। এখন সেই টাকা রাজ্যকে সাজাতে এবং মন্দির পুনর্গঠনে ব্যবহার করা হয়। এটাই চিন্তার পার্থক্য।‘
এদিকে, ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ ভোট আদিত্যনাথের নেতৃত্বেই লড়বে বিজেপি। সম্প্রতি লখনউয়ের এক অনুষ্ঠানে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন অমিত শাহ। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, ২০২৪-এ ফের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফিরছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর নেতৃত্বেই সে বছর সাধারণ নির্বাচন লড়া হবে। এই দুটি মন্তব্য করে জাতীয় রাজনীতিতে চলা সাম্প্রতিক জল্পনায় জল ঢেলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের দাবি ছিল, ২০২৪-এ সরবেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর জায়গায় আসবেন যোগী আদিত্যনাথ। আর ২০২২ উত্তর প্রদেশ ভোটে যোগীকে সামনে রাখবে না বিজেপি।
এই দুই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশের সব প্রয়োজন পূরণ করেছেন। যার ভিত্তিতেই ২০২৪ সালে ভোটে লড়বে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদিজি। একইভাবে ২০২২ উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী হবেন যোগীজি।‘
লখনউয়ের অনুষ্ঠানে দলের তরফে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি চালু করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বিজেপির একটি সুত্রের দাবি, এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই আগামি বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। একই ভাবে জাতীয় রাজনীতির প্রধান শত্রু কংগ্রেস এবং ইউপি-তে বিজেপির শত্রু সমাজবাদী পার্টিকে একহাত নিয়েছেন অমিত শাহ। অন্যরা যখন পরিবারের জন্য সরকার গড়েন। একমাত্র বিজেপি রাজ্যের গরিবদের জন্য সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবেই সরব হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
অপরদিকে, একগুচ্ছ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে ভোটের তিন মাস আগে উত্তর প্রদেশে পথে নামল কংগ্রেস। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি প্রতিজ্ঞা যাত্রা শুরু করেছেন। সেই রাজ্যের বারবাঙ্কি জেলা থেকে শুরু হয়েছে এই যাত্রা। এই অনুষ্ঠানে সরকারি ভাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পরিবারপিছু চিকিৎসার খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পাশাপাশি উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ঋণ মকুব এবং ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের পক্ষেও সওয়াল করেন নেত্রী।
হিন্দিতে ট্যুইট করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘রাজ্য সরকারের অবহেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধুঁকছে। সস্তায় ভালো চিকিৎসা প্রদানে কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় এলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বহন করবে।‘ এখানেই শেষ নয়, সেই ট্যুইটে প্রিয়াঙ্কার প্রতিশ্রুতি, ‘বাড়িপিছু অর্ধেকে বিদ্যুৎ বিল এবং করোনার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা অর্থসাহায্য।‘
বছর ঘুরলেই গোবলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরপ্রদেশ দখলে মাস্টারপ্ল্যান কংগ্রেসের। বিজেপিকে রুখতে এবার নারী শক্তিতেই ভরসা হাত-শিবিরের। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলাদের টিকিট দেবে কংগ্রেস। এমনই জানিয়েছেন রাজ্যে দলের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন