তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় বসে নমাজপাঠ হয় গিয়েছে। তার আগে ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় বসে নমাজপাঠ ছিল উত্তরপ্রদেশের পরিচিত দৃশ্য। শুধু রাস্তায় বসে নমাজপাঠই নয়। বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মসজিদগুলোয় লাউডস্পিকার বাজিয়ে নমাজপাঠও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মসজিদগুলো সেই সব লাউডস্পিকার স্কুল ও হাসপাতালগুলোকে দিয়ে দিয়েছে। কার্যত কৃতিত্ব নেওয়ার সুরে এবার এমনটাই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরএসএসের এক অনুষ্ঠানে যোগী বলেন, 'অনেক রাজ্যে দেখা গিয়েছে, নির্বাচন হওয়ার পর দাঙ্গা হয়েছে। ভোটের সময় এবং পরে কিন্তু ইউপিতে কোনও দাঙ্গা হয়নি। সরকার গঠনের পর রামনবমী উদযাপিত হয়। শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে হনুমানজয়ন্তীও। এটা সেই ইউপি, যেখানে একসময় ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে দাঙ্গা হত। এখন নিশ্চয়ই দেখেন, রাস্তায় কোনও ঈদের নমাজপাঠ হয় না। হয় মসজিদের লাউডস্পিকারের ভলিউম কমে গিয়েছে। নতুবা লাউডস্পিকার পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেই সব লাউডস্পিকার মসজিদগুলো এখন স্কুল এবং হাসপাতালগুলোকে দান করে দিচ্ছে।' প্রায় লক্ষাধিক লাউডস্পিকারের ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটেছে বলে দাবি যোগীর।
আরও পড়ুন- যেখানে ভাঙা হয়েছে সেখানেই বানাতে হবে মন্দির, দাবি সাওয়ান্তের
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে মালিকানাহীন গবাদি পশু অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে যোগী বলেন, 'আপনাদের মনে থাকবে যে আমাদের সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন সব অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। এর ফলে রাস্তা এবং মাঠে বিচরণকারী মালিকানাহীন গবাদি পশুর সংখ্যা বেড়েছে। আগে এই সব পশু অবৈধ কসাইখানায় পাচার হত। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, আমরা ৫,৬০০টিরও বেশি গবাদি পশুর আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছি। আমরা একটি নতুন প্রকল্পও তৈরি করেছি যেখানে আমরা গোবর থেকে সিএনজি তৈরি করব। এজন্য কেজিপ্রতি ১টাকা দিয়ে গোবর কেনা হবে। আমরা গো রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছি।'
অযোধ্যায় কীভাবে রামমন্দির গড়ে তোলা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন যোগী। তিনি জানান যে বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে। যোগীর কথায়, 'মথুরা, বৃন্দাবন এবং চিত্রকূটের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে উত্তরপ্রদেশ সরকার ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলছে নতুবা সংস্কার করছে।'
Read full story in English