জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধি নিয়ে বুধবার সংসদে বিরোধী হল্লার মুখে পড়ল মোদী সরকার। ফিনান্স বিল ২০২১ নিয়ে আলোচনার সময় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কংগ্রেস। আরথিক বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছিল তারা। সেই প্রসঙ্গের সুত্র ধরে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে চেপে ধরে শিব সেনা। তাঁদের দাবি, ‘এভাবে জ্বালানির দাম বাড়তে থাকলে কোনওভাবেই কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে না।‘
এদিন পঞ্জাব থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ অমর সিং বলেন, ‘দেশের আয়ের ৭৩% সম্পদ ১% মানুষ কুক্ষিগত করে রেখেছে। আপনারা বিত্তবানদের কর ছাড় দিচ্ছেন আর সাধারন মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়াচ্ছেন। পেট্রোল আর ডিজেলের দাম কেন প্রতিদিন বাড়ছে? কেন্দ্রীয় ভাবে সব জিনিষের ওপর সেস বসাচ্ছেন। রাজ্যকে যা কোনওভাবেই সাহায্য করছে না। জিএসটি থেকে প্রাপ্য আয় আপনারা দিচ্ছেন না। এরম করবেন না। রাজ্যগুলো বঞ্চিত হচ্ছে।‘
খানিকটা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর এদিন প্রতিফলিত হয়েছে কংগ্রেস সাংসদের গলায়। বিরোধী শিবির সুত্রে এমনটাই দাবি। প্রায়ই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে নানাভাবে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জিএসটির প্রাপ্য দেওয়ার বদলে প্রতি বছর ৭৫ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে কেন্দ্র। এমন অভিযোগ সাম্প্রতিক নির্বাচনী সভায় তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করে এদিন সংসদে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ।
একই ভাবে সরব হয়েছিলেন শিব সেনা সাংসদ বিনায়ক রাউত। জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধি প্রশ্নে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির তুলনা টেনে এদিন সরকারকে বিঁধেছেন তিনি।
অপরদিকে, শৌচকর্ম সাফাইয়ের পেশা ভারতের কাছে বিড়ম্বনা। কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই আর্জি করলেন সাংসদ জয়া বচ্চন। তাঁর প্রশ্ন, “কেন আমরা এখনও শৌচকর্মীর পেশাকে দেশ থেকে বিলুপ্ত করতে পারিনি। কেন কোনও রকম সুরক্ষা সামগ্রী তাদের দিতে পারিনি?’ আপনারা স্বচ্ছ ভারতের ওপর জোর দিচ্ছেন? এটা তাঁর অন্তর্গত।”
দেশে ভারতীয় রেল শৌচ সাফাই কর্মীদের চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ করে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জয়া বচ্চন রেলমন্ত্রীর অবস্থান জানতে চান। শৌচ সাফাই কর্মীদের প্রকৃত সম্মান দিয়ে পুনর্বাসন এবং ঠিকাদারদের উপযুক্ত সাজার পক্ষে সওয়াল করেন মিসেস বচ্চন।