
৩৪ বছরের বিভূতিশঙ্করকে শেষ স্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত, সেনা আধিকারিক, কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতা সহ অনেকেই।
আরও পড়ুন, বাবলুর আর এক্সটেনশন নেওয়া হল না
দেহরাদুনে তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। দূর থেকে কফিনবন্দি তেরঙ্গা জড়ানো স্বামীর দিকে চুম্বন ছুড়ে দিলেন নিতিকা। বললেন, “আমরা সবাই তোমায় ভালবাসি। দেশের মানুষের জন্য প্রাণ দিয়ে দিলে তুমি”। গলা ধরে আসছিল, সামলে নিয়ে স্ত্রী বললেন, “তোমায় স্বামী হিসেবে পেয়ে আমি গর্বিত, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমি ভালবেসে যাব তোমায়। তুমি চলে যাচ্ছ, খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। কিন্তু আমি জানি, তুমি এখানেই থাকবে, আমাদের আশেপাশে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, কেউ সমবেদনা জানাবেন না। মন শক্ত করে মানুষটাকে স্যালুট জানান”।
ভিড় করে থাকা শয়ে শয়ে মানুষ তখন স্লোগান তুলেছে ‘ভারতমাতা কি জয়’, ;বন্দে মাতরম’। ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ ও শোনা যাচ্ছে থেকে থেকেই।
মেজরের শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতও। “দেশের সেনা জওয়ানদের মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। বিগত কয়েকদিনে সেনাবাহিনীর যতজন প্রাণ হারালেন, প্রত্যেকের পরিবারের পাশে আছি আমরা সবাই”, বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।