ন্যাশনাল হেরাল্ড হাউসে অভিযান চালানোর পর এবার ইয়ং ইন্ডিয়ানের অফিস সিল করে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি, জনপথ মার্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বাড়ির বাইরেও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ। তার মধ্যেই বুধবার সিল করে দেওয়া হয়েছে ইয়ং ইন্ডিয়ানের অফিসটি। কংগ্রেসের মালিকানাধীন ন্যাশনাল হেরাল্ড হাউজের চত্বরেই এই ইয়ং ইন্ডিয়ানের অফিস। একইসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের আগাম অনুমতি ছাড়া ইয়ং ইন্ডিয়ানের অফিস খোলা যাবে না।
এর মধ্যেই কেন সনিয়া গান্ধীর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হল, সেই নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। তবে, আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। রাস্তাতেও করা হয়েছে ব্যারিকেড। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, কংগ্রেস কর্মী ও জনসাধারণের বিক্ষোভ ঠেকাতেই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে। এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিতর্কিত তথ্যসুরক্ষা বিল প্রত্যাহার, নতুন বিল আনার প্রস্তুতি সরকারের
মঙ্গলবারই ন্যাশনাল হেরাল্ডের তহবিল তছরুপ মামলার তদন্তে দিল্লির হেরাল্ড হাউজে অভিযান চালায় ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের প্রকাশক সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের অফিসের ঠিকানায় এই অভিযান চালানো হয়েছে। গান্ধী পরিবারের অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস অধিগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে তদন্ত করছেন ইডির কর্তারা।
তার মধ্যেই দিল্লি পুলিশের ব্যারিকেড, ১৪৪ ধারা জারির পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, 'মানুষকে ভয় দেখানোর কৌশল হিসেবে এই ব্যবস্থা নিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কর্তারা। এটা শুধু মানুষকে ভয় দেখানোর কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে, মানুষ ভয় পাবে না। তারা প্রতিবাদ জানাবে।'
এর আগে বুধবারই কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে বিরোধী দলগুলোকে ধ্বংস করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইডিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেসকে ইডির বিরুদ্ধে লোকসভায় বলতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করতে দেওয়া হচ্ছে না।
Read full story in English