ওমিক্রনের তাণ্ডবে নাজেহাল অবস্থা ভারত সহ সারা বিশ্বের। ইতিমধ্যেই অনেকটা কমেছে সংক্রমণ সেই হারে কমেনি মৃত্যুর সংখ্যা। এবার আইসিএমআরের রিপোর্টে উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগেরই গড় বয়স ৪৪। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) তথ্য অনুসারে, কোভিড দ্বিতীয় ঢেউকালে সংক্রমিত জনসংখ্যার গড় বয়স ছিল ৫৫ বছর। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় হাসপাতালে ভর্তির এই গড় বয়স ৪৪-এ নেমে এসেছে।
এপ্রসঙ্গে আইসিএমআরের ডিজি, বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন ‘মোট দুটি সময়কালের ডেটার ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি। একটি তথ্য ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর যখন ডেল্টার প্রকোপ বেশি ছিল এবং অন্যটি ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি যখন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল’।
১৫২০ জন হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তাদের বয়সের গড় ৪৪ বছর। তুলনামূলকভাবে কম বয়সীরাই ওমিক্রনের দাপটে বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন জানিয়েছেন ভার্গব। তিনি আরও জানান, ‘তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই কোর্মবিডিটি ছিল তবে উপসর্গ খুবই অল্প ছিল’।
তাঁর কথায় “করোনা দ্বিতীয় ঢেউ থেকে তৃতীয় ঢেউকালে মৃত্যুর সংখ্যা তুলনায় অনেক কম থাকলেও লক্ষ্য করা গেছে মোট মৃতের ২২% টিকাহীন ছিলেন। আর টিকা নিয়েও করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন সেই সংখ্যা ১০%”।
এ প্রসঙ্গে ডাঃ ভার্গব জানান, “টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মারা গেছেন যাদের কোর্মবিডিটি ছিল সেখানে টিকাহীন ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৩% কোমর্বিডিটি ছিল”। টিকাহীন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কোর্মিবিডিটি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিএমআর রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে তৃতীয় ঢেউকালে কোভিড চিকিৎসার জন্য ওষুধের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়েছে। তাছাড়া, রেনাল ফেইলিওর, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিন্ড্রো্মের মত জটিলতা অনেক কম রিপোর্ট করা হয়েছে। ডেটা অনুসারে দেখা গেছে করোনা তৃতীয় ঢেউকালে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তুলনায় অনেক কম সেই সঙ্গে কম বয়সী আক্রান্তের মধ্যে গলাব্যাথার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।