'রাজনীতি ছেড়ে আইনশৃঙ্খলার দিকে মনোনিবেশ করুন', 'স্বাতি মালিওয়ালের' ঘটনা প্রসঙ্গে কেজরিওয়ালের কড়া বার্তা। দিল্লির রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার খোদ মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতি মালিওয়াল। এবার এই ঘটনায় সরাসরি দিল্লির এলজি বিনয় সাক্সেনাকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। কী লিখেছেন তিনি সেই বার্তায়? খোদ মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতি মালিওয়ালের ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লির এলজি বিনয় সাক্সেনাকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক বার্তায় কেজরিওয়াল লিখেছেন, 'দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এ কী হাল? দুর্বৃত্তদের সাহস এতটাই বেড়েছে যে মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানও নিরাপদ নন। সংবিধান অনুসারে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে, আমি ওনার কাছে অনুরোধ করছি, রাজনীতি ছেড়ে আইনশৃঙ্খলার দিকে মনোনিবেশ করুন'।
উল্লেখ্য, দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতি মালিওয়াল বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় রাজপথে তাঁর সঙ্গে ঘটা শ্লীলতাহানির ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, "গতকাল গভীর রাতে আমি দিল্লিতে মহিলাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছিলাম। একজন মদ্যপ চালক আমাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমি তাকে ধরতে গিয়ে মারাত্মক এক ঘটনার সাক্ষী থাকি, চালক গাড়ির উইন্ডশিল্ডে আমার হাত বন্ধ করে আমাকে কিছুদূর টেনে নিয়ে যায়। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ । উনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। যদি দিল্লির রাজপথে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নিরাপদ না হয়, তাহলে সাধারণ মহিলাদের রাজধানীতে কী হাল"।
আরও পড়ুন: < ‘আপনাদের দুঃখ-যন্ত্রণার কথা শুনতেই আমি এসেছি’….! ‘উপত্যকার মন’ জিততে মরিয়া রাহুল >
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় স্বাতি মালিওয়াল বলেন, "গত রাতে আমি দিল্লির রাস্তায় মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বেরিয়েছিলাম। একটি গাড়ি আমার কাছে আসে, গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় আমাকে গাড়িতে বসতে বলেন।" আমি অস্বীকার করায় আমার দিকে নোংরা অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। আমি তাকে ধরার চেষ্টা করলে চালক আমাকে ১০-১৫ মিটার টেনে নিয়ে যায়। তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে দিল্লি এইমসের ২ নম্বর গেটের বাইরে। আমি চিৎকার করতে থাকি, ঈশ্বকে ধন্যবাদ। উনি আমার প্রাণ রক্ষা করেছেন। নাহলে অঞ্জলির মতোই আমার একই পরিণতি হতে পারত"। এই ঘটনায় হরিশ চন্দ্র (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। শ্লীলতাহানি ও ইচ্ছকৃত আঘাত করার অভিযোগ এনে হরিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।