Advertisment

ট্রুডোর আনা অভিযোগকে অস্বীকার, নিউইয়র্কের মাটিতে দাঁড়িয়েই কানাডাকে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

খালিস্তানি ইস্যুতে এবার কানাডাকে তোপ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
'You're asking wrong person'

ট্রুডোর আনা অভিযোগকে অস্বীকার, নিউইয়র্কের মাটিতে দাঁড়িয়েই কানাডাকে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কানাডা সরকারের ভারতের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘খালিস্থানি সন্ত্রাসবাসী নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মোটেও সত্য নয়। এটাও কারণ ভারত তার নীতি অনুযায়ী কখনোই এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নয়’। ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ শুরু হয়েছিল যখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছিলেন যে তার সরকারের কাছে কানাডার মাটিতে নিজ্জার হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার "বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ" রয়েছে।

Advertisment

মঙ্গলবার নিউইয়র্কে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনে বক্তৃতা, জয়শঙ্কর কানাডায় সংগঠিত অপরাধ, বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি, চরমপন্থার বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি রাজনৈতিক কানাডার মাটিতে ধরনের কার্যকলাপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে আমরা কানাডার জনগণকে বলেছি যে এই ধরণের কার্যকলাপ ভারত সরকারের নীতি নয়। আপনার যদি কিছু নির্দিষ্ট বা প্রাসঙ্গিক কিছু থাকে তবে আমাদের জানান। তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে কানাডায় অনেক সংগঠিত অপরাধ হয়েছে।

ভারত ও কানাডার মধ্যে সংঘাত সপ্তমে পৌঁছায় যখন এক মার্কিন কূটনীতিক অভিযোগ করেন যে " বৈশ্বিক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বেশ কিছু খবর এসেছিল কানাডার কাছে। সেই সূত্রের উপর ভিত্তি করেই ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো)। কানাডায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড কোহেনের এই বক্তব্যে তোলপাড় পড়ে যায়।  ট্রুডো এই হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। জয়শঙ্কর এই বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন "আমি দ্য ফাইভ আইসের অংশ নই, আমি অবশ্যই FBI-এর অংশ নই। তাই আমি মনে করি আপনি ভুল ব্যক্তিকে ভুল প্রশ্ন করছেন।" পাশাপাশি ভারত কানাডার আনা অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং কানাডিয়ান নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের 'সম্ভাব্য' জড়িত থাকার অভিযোগের পর ভারত ও কানাডার মধ্যে একটি কূটনৈতিক সংঘাত শুরু হয়। যাইহোক, ভারত অভিযোগগুলিকে 'অযৌক্তিক' এবং উদ্দেশ্যে 'প্রণোদিত' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এই বিষয়ে অটোয়াতে একজন ভারতীয় কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করার প্রতিশোধ হিসেবে কানাডার একজন সিনিয়র কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত।

India-Canada
Advertisment