Advertisment

ধর্মগ্রন্থ অবমাননার অভিযোগ, স্বর্ণমন্দির চত্বরে ‘পিটিয়ে মারা’ হল যুবককে

চারদিনের মধ্যে এটি ছিল স্বর্ণ মন্দিরে দ্বিতীয় ধর্ম অবমাননার প্রচেষ্টা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Youth beaten to death after alleged sacrilege bid at Amritsar Golden Temple

বিতর্কের কেন্দ্রে স্বর্ণ মন্দির

অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে ঢুকে পবিত্র গুরু গ্রন্থ সাহিবকে অপবিত্র করার চেষ্টা। এই অভিযোগে শনিবার স্বর্ণ মন্দির চত্বরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে, ২০ বছরের নিহত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।

Advertisment

শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির কর্মী এবং দরবার সাহেবের ভক্তদের হাতে শুরুতেই ধরা পড়ে ওই যুবক। পরে তার মরদেহ সিজিপিসি সদর দফতরের প্রধান ফটকের বাইরে রাখা হয়। ডিসিপি পারমিন্দর সিং ভান্ডাল বলেছেন, 'অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে এসজিপিসি সদর দফতরে আনার আগেই মারধর করা হয়েছিল। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তের বিষয়।'

এক এসজিপিসি আধিকারিকের কথায়, 'শনিবার বিকেল ৫টা ৪০ নাগাদ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের সময় এক ব্যক্তি ঘেরাটোপ টপকে গুরু গ্রন্থ সাহিবের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকী পবিত্র ধর্মগ্রন্থের উপরে রাখা কৃপাণটি তুলে ফেলেন বলেও অভিযোগ।' গোটা ঘটনা একটি টিভি চ্যানেলে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। ঘটনার সময়ই ওই যুবককে ধরে ফেলেন স্বর্ণ মন্দিরের প্রহরী ও ভক্তরা।

সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তিকে প্রথমে স্বর্ণ মন্দির চত্বরের ভিতরে একটি কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর তাঁকে হুইল চেয়ারে করে এসজিপিসি সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাকে বেধরক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এসজিপি আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাজদ করলেও নিজের পরিচয় জানায়নি সে। কোনও পরিচয় পত্র ছিল না তাঁর।

এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এসজিপিসি-র সভাপতি হরজিন্দর সিং ধমি।

ঘটনার খবর জানাজানি হতেই, বেশকিছু শিখ ভক্ত ওই যুবকের হেফাজতের দাবিতে ধর্না শুরু করেছিলেন। এসজিপিসি পরে লোকটির মরদেহ এনে সদর দফতরের বাইরে রাখে।

চারদিনের মধ্যে এটি ছিল স্বর্ণ মন্দিরে দ্বিতীয় ধর্ম অবমাননার প্রচেষ্টা। গত বুধবার এক ব্যক্তি স্বর্ণ মন্দিরের সরোবরে একটি গুটকা (গুরবাণীর শ্লোক সম্বলিত একটি বই) ছুড়ে ফেলেছিলেন। এসজিপিসি সেবাদাররা ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই ব্যক্তির নাম রণবীর সিং বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এসজিপিসি সভাপতি ধমি ওই ঘটনার পরে বলেছিলেন যে, 'এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি শিখদের অনুভূতিকে আঘাত এবং পাঞ্জাবের পরিবেশকে খারাপ করার ষড়যন্ত্র।'

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Punjab
Advertisment