কবে থামবে ফ্রান্সে বিক্ষোভের আগুন, চতুর্থ দিনের মতো দেশ জুড়ে হিংসা অব্যাহত, ৯১৭ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশ জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৪৫ হাজার সেনা।
গত ৭২ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে রাজধানী প্যারিস। মঙ্গলবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
ফ্রান্সে গত কয়েকদিন ধরে চলা হিংসা থামার নামই নেই। প্যারিসসহ অনেক শহরে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে পৌঁছেছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজপথে নেমেছেন। বহু ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুড়িয়ে হয়েছে যানবাহন। শুধু প্যারিসেই নয়, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে শ’য়ে শ’য়ে কিলোমিটার দূরের শহরগুলোতেও। এ পর্যন্ত ৮০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে জরুরি অবস্থা জারি করা হতে পারে। রিপোর্ট অনুসারে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ২০০৫ সালের দাঙ্গার চেয়েও খারাপ হতে চলেছে। ১৭ বছরের এক যুবকের মৃত্যুর পর প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে গোটা দেশ। সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। ফ্রান্সের সর্বত্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ, হিংসা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা।
মঙ্গলবার প্যারিস থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে, বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি থানাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস গত ৭২ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে।
সরকারের তরফদে বারবার বিক্ষোভকারীদের কাছে শান্তির আবেদন জানানো হচ্ছে, তবুও হিংসা অব্যাহত। শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাসবার্গে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি অ্যাপল স্টোর লুট করা হয়েছিল, একই সঙ্গে একটি শপিং মলের একটি ফাস্ট-ফুড আউটলেটেও চলে অবাধ লুটপাট।
বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছেড়েছে এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। হিংসা দমনে মোতায়েন করা হয়েছে ৪৫ হাজার সেনা।
হিংসার ঘটনায় এখন ৯১৭ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহত হয়েছে ২০০-এর বেশি পুলিস কর্মী। মঙ্গলবার, ট্রাফিক নিয়ম ভাঙার কারণে ১৭ বছর বয়সী যুবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা পুরো দেশকে নাড়া দেয়। চরম ক্ষুব্ধ দেশের মানুষ। এ কারণেই দেশে মানুষ প্রতিবাদে সামিল।