অন্ধ্র প্রদেশের বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে জগন মোহন রেড্ডি ঝড়। কেন্দ্রে কিং মকার হওয়ার আশা শেষ চন্দ্র বাবু নাইডুর।
চন্দ্র বাবু নাইডুর ছেলে নারা লোকেশ মালকানগিরি থেকে হারছেন, হারছেন অনেক বর্ষীয়ান মন্ত্রীরাও।
আরও পড়ুন, রাজ্যে বিজেপির দারুণ ফল, পশ্চিমবঙ্গে কি শেষ কংগ্রেস-বাম?
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে রাজ্যে ২৪টিতেই এগিয়ে রয়েছে ওয়াই এস আর কংগ্রেস। বিধানসভায় ১৭৫টি আসনের মধ্যে ১৫০টিতে এগিয়ে রয়েছে তারা। চলচ্চিত্রাভিনেতা পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টি একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। জনপ্রিয় এই অভিনেতা নিজে ভীমাবরম ও গাজুওয়াকা এই দুটি আসনে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন।
জগন এবারের ভোটে প্রায় ওয়াকওভার পেয়েছেন। প্রায় ৫০ শতাংশের ভোট পাচ্ছেন। চন্দ্রবাবু নাইডু তাঁর সময়কালে গৃহীত জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে প্রচার করেছিলেন, শেষ মুহূর্তে কিছু প্রকল্পও ঘোষণা করেছেন কৃষক, মহিলা এবং বয়স্কদের জন্য। তবে তা কাজে লাগেনি বলেই ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে টিডিপি। বিজেপিকে রাজ্যে কোথাও দেখাই যাচ্ছে না। তাদের ভোটের শতকরা হার অত্যন্ত কম।
জগনের পক্ষে এই জয় সহজ হয়নি। দীর্ঘ পদযাত্রা করেছেন তিনি, দীর্ঘ ছিল তাঁর প্রচারও। ২০১৪ সালেও দল জয়ের সামনে দাঁডিয়েছিল, কিন্তু বিজেপি টিডিপি জোট এবং পবন কল্যাণের সেই জোটকে সমর্থন জগনের পক্ষে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন, ইতিহাসের দোরগোড়ায় বিজেপি, কী ভাবে?
এবার নাইডু বিজেপি ছাড়া, পবন কল্যাণও তাঁর সঙ্গে নেই। তার চেয়েও বেশি, তিনি চার বছর বিজেপির সঙ্গে ঘর করার পর এনডিএ ছেড়েছেন বিশেষ মর্যাদা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে।
অন্ধ্র প্রদেশের এবারের নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ইভিএম সমস্যায় দীর্ঘ রাত অবধি ভোটগ্রহণ। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ভোট চললেও উৎসাহে ঘাটতি ছিল না মহিলা ও বয়স্কদের মধ্যে। এতে মনে করা হয়েছিল টিডিপি-ই জিততে চলেছে, কারণ নাইডু এঁদের জন্য প্রচুর ভাতার ঘোষণা করেছিলেন। নির্বাচনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ভোটাররা একেবারেই মুখ খোলেননি।
সম্প্রতি নাইডু বলেছেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং কেন্দ্রে কোয়ালিশন সরকার গঠনের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে চান।
ট্রেন্ড যা দেখা যাচ্ছে নাইডু একটি লোকসভা আসনে জিততে চলেছেন। চন্দ্রবাবুর আর কিচ্ছু করার নেই, কোথাও যাওয়ার নেই।