/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/rail1.jpg)
লকডাউন পরবর্তী সময় যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে পরিকল্পনা রেলের। ১৪ এপ্রিলের পর পর্যায়ভিত্তিকভাবে কতটা করে ট্রেন চালানো সম্ভব? রেলের জোনাল অফিসগুলিকে সেই মর্মেই মন্ত্রকে পরিকল্পনা জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, ট্রেন চালানোর বিষয়টি নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় নির্দেশের উপরই।
জোনে কর্মরতদের তরফে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানানো হয়েছে যে, মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ মিলেছে। কতটা গেজে ট্রেন চালানো জোনালগুলির পক্ষে সম্ভব তা জানাতে বলা হয়েছে। জোনালগুলি যদি স্বাভাবিক পরিষেবার ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ ট্রেন চালাতে সক্ষম হয় তবে কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন কৌশলের উপর তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২২ মার্চ মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে যাত্রীবাহী সব ধরনের ট্রেন পরিষেবা বাতিল করেছে রেলমন্ত্রক। কেবল দূরপাল্লার যেসহ ট্রেন ওই সময়কালে চলছিল সেগুলিকে গন্তব্য পৌঁছতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: LIVE-ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ২,৯০২, মৃত ৬৮
লকডাউনের মেয়াদের পর পরই ১০০ শতাংশ ট্রেন পরিষেবা চালুর বিষয়ে এখনও কেন্দ্রীয় সরকারে কোনও আলোচনা বা সিন্ধান্ত হয়নি। স্বাভাবিক পরিষেবায় প্রত্যেক দিন ১৩ হাজার ট্রেন চালচল করে থাকে।
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে জারি ২১ দিনের লকডাউন। লকডাউনের জেরে অনেকে সমস্য়াতেও পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন উঠলে দেশে করোনা রুখতে কী পদক্ষেপ করা হবে, সে নিয়ে রাজ্য়গুলোর থেকে ইতিমধ্যেই পরামর্শ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার করোনা মোকাবিলায় রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ‘এগজিট স্ট্র্য়াটেজি’র উপর জোর দেন মোদী। তবে উদ্বেগের বিষয় হল যে, কেন্দ্র বর্তমানে ন্যূনতম পরিষেবা চালু করলেও রাজ্যগুলিতে লকডাউন জারি থাকলে তা ব্যহত হতে পারে। রেলের জোনাল অফিসারদের মতে, কোন কোন রাজ্যের মধ্যে দিয়ে ট্রেন চলছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রেল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। রেলের প্রায় ৫০ শতাংশ হাসপাতাল করোনার চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিকে শুধুমাত্র করোনার জন্যই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বহু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হল রেলের ৫০০ কোচ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন