অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের এবার পুলিশের থেকে তাঁর ডিভাইস ফেরত চাইলেন। তদন্তের স্বার্থে এই ডিভাইসগুলো বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশের যাবতীয় আর্জি উপেক্ষা করে মহম্মদ জুবেরকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, চার বছর আগে ২০১৮ সালে করা একটা টুইটের জন্য জুবেরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের মামলা দায়েরেরও কঠোর সমালোচনা করেছে আদালত।
শুধু তাই নয়, জুবেরের টুইট বন্ধ নিয়ে পুলিশের আর্জিও আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এরপরই বাজেয়াপ্ত করা ডিভাইস এবং নথি ফেরত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন মহম্মদ জুবের। তার প্রেক্ষিতে বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট উত্তর দেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। জুবেরের মামলা এখন দিল্লি পুলিশই দেখছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে সব মামলা আগেই আদালতের নির্দেশে সরানো হয়েছে।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশের আগে জুবেরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে মামলা চলছিল। তার আগে সেশন কোর্ট তাঁকে ১৫ জুলাই জামিন দিয়েছিল। অথচ, মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন জুবের। সেই আবেদন অবশ্য তিনি গতমাসেই জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- কাবুলে ফের বিস্ফোরণ, কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আকুতি আত্মীয়দের
বুধবার আদালতে জুবেরের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। তিনি আদালতকে জানান, জুবের সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। তার আগে সেশন কোর্টও তাঁকে জামিন দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গত মাসে দায়ের করা চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ খারিজের আবেদন কার্যকর করার জন্য বলেন বৃন্দা গ্রোভার। তিনি জানান, ২০১৮ সালে টুইট করা হয়েছিল মোবাইল থেকে। সেই কারণে মোবাইল ছাড়া অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে এই তদন্তের কোনও যোগ নেই। অথচ, মোবাইল ছাড়া অন্যান্য ডিভাইসও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাই, পুলিশের উচিত মোবাইল বাদে অন্যান্য ডিভাইসগুলো ফিরিয়ে দেওয়া। এরপরই বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরব দিল্লি পুলিশকে ডিভাইস এবং নথি ফেরানো নিয়ে জুবেরের আবেদনের উত্তর দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় দেন। পাশাপাশি, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ১৫ সেপ্টেম্বর।
Read full story in English