Vaishakh Amavasya to Remove Pitra Dosh: ভারতীয় হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী বৈশাখী মাসের অমাবস্যা একটি অত্যন্ত শুভ এবং গুরুত্বপূর্ণ তিথি। এই দিনটি পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে শ্রাদ্ধ ও পিতৃদোষ নিরসনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ২০২৫ সালে বৈশাখী অমাবস্যা পড়বে ২৮ এপ্রিল, সোমবার। এই দিন সূর্যোদয় থেকে অমাবস্যা তিথি শুরু হবে, সন্ধ্যার পর পর্যন্ত চলবে।
পিতৃদোষ কী?
জ্যোতিষ শাস্ত্রে পিতৃদোষ এমন একটি অবস্থা যা কু-গ্রহের প্রভাবে পূর্বপুরুষদের অপ্রাপ্ত আত্মা সন্তুষ্ট না হওয়ায় বর্তমান প্রজন্মের জীবনে নানা বাধা, দারিদ্র, বিবাহ বা সন্তানের সমস্যা দেখা দেয়। বৈশাখী অমাবস্যা হল সেই তিথি, যেদিন এই পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শ্রাদ্ধ, তিল দান, এবং বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন- সূর্য-বৃহস্পতির ২৫ এপ্রিল অর্ধকেন্দ্র যোগ, কারা হতে পারেন লাভবান, কারা পড়বেন দুঃসময়ে?
বৈশাখী অমাবস্যার গুরুত্ব:
বৈশাখী অমাবস্যা তিথিতে গঙ্গা বা পবিত্র নদীতে স্নান করা, পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তিল ও জল দান, অন্ন ও বস্ত্র দান অত্যন্ত শুভফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই দিনে পিতৃতর্পণ করলে পূর্বজ সন্তুষ্ট হন এবং পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
আরও পড়ুন- আর ২ দিন পরই শুরু হচ্ছে পঞ্চক, এই ৫ ভুল করলে বাড়বে জীবনের টেনশন
পিতৃদোষ মুক্তির জন্য করণীয়:
আরও পড়ুন- আগামী মাসে দু’বার রাশিচক্র বদলাবে শুক্র, কোন রাশির জীবনে কী প্রভাব ফেলবে এই পরিবর্তন?
১. গঙ্গাস্নান ও তিল দান: পবিত্র নদীতে স্নান করে তিল, জল ও পিণ্ড দান করতে হবে।
২. পিতৃতর্পণ ও শ্রাদ্ধ: পূর্বপুরুষদের নাম করে তর্পণ ও পিণ্ড দান করা অত্যন্ত জরুরি।
৩. গরিবদের খাদ্য ও বস্ত্র দান: ব্রাহ্মণ বা দরিদ্রদের খাওয়ানো ও বস্ত্রদান পুণ্যদায়ক।
৪. বিশেষ মন্ত্র জপ: ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায় এবং পিতৃগণায় নমঃ মন্ত্র জপ করুন।
৫. পিপল গাছে জল দেওয়া ও প্রদীপ জ্বালানো: এই কাজ পিতৃদোষ হ্রাস করে।
আরও পড়ুন- শুক্র-রাহুর খেল, আগামী ৩০ দিনে কপাল ফিরবে এই ৩ রাশির! নতুন চাকরি, ধনলাভের জোর সম্ভাবনা
জ্যোতিষীদের পরামর্শ (Remedies ):
যাদের কুণ্ডলীতে রাহু, কেতু বা শনির প্রভাবে পিতৃদোষ রয়েছে, তাঁরা এই দিন বিশেষ যত্নে উপবাস পালন করে পিতৃপুজা করলে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। বৈশাখী অমাবস্যা শুধুই একটি তিথি নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও পূর্বজদের সন্তুষ্ট করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। সঠিক নিয়ম ও বিশ্বাস নিয়ে এই তিথিতে পিতৃপুজা ও দান করলে জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নতির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।