/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/31/yxGPJhcjiTwZvJBLM5Wi.jpg)
Shivam Dube Concussion sub Harshit Rana: দুবের জায়গায় কনকাশন সাব হিসাবে খেললেন হর্ষিত রানা (টুইটার)
Shivam Dube concussion sub with Harshit Rana: শিবম দুবের বদলে কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামার পর হর্ষিত রানাকে কেন বল করার অনুমতি দেওয়া হল? এই প্রশ্নে তৈরি হয়েছে বিরাট জল্পনা। আর, তাতেই প্রশ্ন উঠেছে এক্ষেত্রে নিয়ম কী বলে?
এত কথা হওয়ার কারণ, দুবের বদলে হর্ষিতকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় তুমুল হইচই হচ্ছে। কারণ, হর্ষিত একজন পেসার। আর, দুবে একজন অলরাউন্ডার। তাই কিছু বিশেষজ্ঞ অভিযোগ করেছেন, এটা নিয়মমাফিক বদলি হয়নি। অর্থাৎ, বোলারের বদলে বোলারকে বা অলরাউন্ডারের বদলে অলরাউন্ডারকে মাঠে নামানোটাই উচিত ছিল।
কিন্তু, তার বদলে শুক্রবার পুনেতে ভারত-ইংল্যান্ডের চতুর্থ ম্যাচে শিবম দুবের পরিবর্তে কনকাশন বিকল্প হিসেবে হর্ষিত রানাকে নামানো হয়। এই ম্যাচে ভারতের হয়ে রানার টি২০ অভিষেক হল। ৮ম ওভারে মাঠে নেমে রানা ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলারের ক্যাচ নেন। বাটলার আউট হওয়ার পর গোটা বিষয়টি নিয়ে ইংল্যান্ডের ডাগ-আউটে কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন।
রানা মাঠে থাকাকালীন, ভারতের হাতে অতিরিক্ত বোলার ছিল। কিন্তু, ১২তম ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পেসারকে বল দেওয়া হয়। আর, তিনি লিয়াম লিভিংস্টোনকে আউট করেন। ১৬তম ওভারে বল করতে এসে মাত্র ৬ রানে জ্যাকব বেথেলকে ফেরত পাঠান। ১৯ রানে জেমি ওভারটনকে আউট করার পর তিনি তাঁর ৩য় উইকেট নেন। ফলে, তাঁর এদিনের ম্যাচের পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৩।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন খেলোয়াড় মাইকেল ভন এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, 'একজন পুরোদস্তুর বোলারকে কীভাবে একজন পার্ট টাইম বোলার কাম ব্যাটারের বদলে নামানো সম্ভব!!!!!!!!!!!!!!!!' তবে, এমন ঘটনা কিন্তু, নতুন ঘটল না। ভারত আগেও এমনটা করেছে। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি টি২০ ম্যাচে রবীন্দ্র জাদেজার পরিবর্তে কনকাশন বদলি হিসেবে নামানো হয়েছিল যুজবেন্দ্র চাহালকে।
How can an out & out bowler replace a batter who bowls part time !!!!!!!!!!!!!!!! #INDvsENG
— Michael Vaughan (@MichaelVaughan) January 31, 2025
চাহাল শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। কনকাশন নিয়ম কনকাশন বদলির জন্য আইসিসি প্লেয়িং কন্ডিশনের নিয়ম ১.২.৭.৩-এ বলা হয়েছে: 'আইসিসি ম্যাচ রেফারির সাধারণত কনকাশন বদলির অনুরোধ অনুমোদন করা উচিত, যদি না বদলি খেলোয়াড় ম্যাচের বাকি সময় তাঁর দলকে অতিরিক্ত সুবিধা করে দিতে পারেন, এমন কেউ না হন।'
নিয়ম ১.২.৭.৭-এ বলা হয়েছে: 'যে কোনও কনকাশন বদলির অনুরোধের ক্ষেত্রে আইসিসি ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, সেক্ষেত্রে কোনও দলেরই আপিলের কোনও অধিকার থাকবে না।' ২০১৯ সালে, আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) জিওফ অ্যালার্ডিস ‘লাইক-ফর-লাইক’ বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন।
অ্যালার্ডিস এজবাস্টনে সাংবাদিকদের বলেন, 'খেলোয়াড়কে কখন বদলানোর অনুরোধ করা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে প্রতিটি পরিস্থিতিই ভিন্ন হতে পারে। এটি অনেকটা ম্যাচের বাকি সময় আহত খেলোয়াড়ের ভূমিকা কী এবং বদলি খেলোয়াড় কী ভূমিকা পালন করবেন, তাতে কে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে, তার ওপর নির্ভর করে।'