/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/cats-2025-08-12-17-57-04.jpg)
/indian-express-bangla/media/media_files/2024/12/19/XjxWVIFa3nnR6bI4JMxj.jpg)
জনের খোলা চিঠি
বিভাগীয় বেঞ্চ, যাতে সম্মাননীয় বিচারপতি জে.বি. পারদিওয়ালা এবং সম্মাননীয় বিচারপতি আর. মহাদেবন অন্তর্ভুক্ত সম্প্রতি এক রায়ে দিল্লির সমস্ত পথকুকুরকে জনসাধারণের স্থান থেকে আশ্রয়কেন্দ্র বা দূরবর্তী এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আশা করি আপনি একমত হবেন যে এরা ‘পথকুকুর’ নয়, বরং সমাজের অংশ হিসেবে থাকা কুকুর। যাদের অনেকেই ভালবাসেন এবং যারা বহু প্রজন্ম ধরে মানুষের প্রতিবেশী হিসেবে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। তাই তারাও প্রকৃত অর্থেই দিল্লিবাসী। যেখানে আন্তরিকভাবে এবিসি (ABC) কর্মসূচি কার্যকর করা হয়, সেখানেই এর সুফল মেলে। জয়পুর ইতিমধ্যেই তাদের ৭০% এরও বেশি কুকুরের বন্ধ্যাত্বকরণ। লখনউ-তে এই হার ৮৪%। দিল্লিও একইভাবে সফল হতে পারে। এই সময় কুকুরদের জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয় এবং সন্তান প্রসব না করার ফলে তারা শান্ত স্বভাবের হয়। কামড়ানোর প্রবণতাও কমে যায় কারণ তাদের আর বাচ্চাদের রক্ষা করতে হয় না। দিল্লিতে আনুমানিক ১০ লাখ কুকুর রয়েছে। প্রত্যেককে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা বা স্থানান্তর করার ভাবনা অবাস্তব ও অমানবিক। আর কুকুর সরিয়ে ফেললে শূন্যস্থানে অন্য কুকুর ঢুকে পড়বে। এলাকা দখলের সংঘাত এবং জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়বে। অতএব, আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি এই রায় পুনর্বিবেচনা ও সংশোধন করে আইনসিদ্ধ, মানবিক ও কার্যকর এবিসি পদ্ধতির পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হোক। যা জনস্বাস্থ্য রক্ষা করার পাশাপাশি সহানুভূতি ও সহাবস্থানের সাংবিধানিক মূল্যবোধকে সম্মান জানায়। ঠিক ২০১৫ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট যে রায়কে সমর্থন করে এসেছে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/cats-2025-08-12-17-59-12.jpg)
জাহ্নবী কাপুর-বরুণ ধাওয়ান
ওরা যাকে বলে 'উপদ্রব' আমরা তাকে বলি 'হৃদস্পন্দন'। আজ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে দিল্লি এনসিআরের সব পথকুকুরকে রাস্তাঘাট থেকে সরিয়ে বন্দি করে রাখো। কিন্তু এরা কেবল ‘পথকুকুর’ নয়। এরা সেই প্রাণ, যারা চায়ের দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে বিস্কুটের অপেক্ষা করে। এরা সেই নীরব প্রহরী, যারা রাত জাগে দোকানদারদের নিরাপত্তার জন্য। এরা সেই লেজ দোলানো পথকুকুর বাচ্চারা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় আনন্দে দোলায়। এরা সেই উষ্ণতা, যা এক শীতল, নির্মম শহরেও টিকে থাকে। হ্যাঁ, সমস্যা আছে। কামড় দিতে পারে, তাই জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ। কিন্তু পুরো একটি প্রাণীসমাজকে খাঁচাবন্দি করা কোনও সমাধান নয়। এটি একপ্রকার সেই প্রজাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। প্রকৃত সমাধান কী? বৃহৎ পরিসরে বন্ধাত্বকরণ কর্মসূচি, নিয়মিত টিকাকরণ অভিযান, কমিউনিটি ফিডিং জোন এবং দত্তক গ্রহণ প্রচারাভিযান। শাস্তি নয়, কারাবাস নয়। যে সমাজ অবলা প্রাণদের রক্ষা করতে পারে না, সেই সমাজ নিজের অস্তিস্বই হারিয়ে ফেলবে। আজ কুকুরদের পালা। আগামীকাল… কার? আওয়াজ তুলুন—কারণ তাদের নিজের কোনও আওয়াজ নেই।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/29/DUqgdUQyLkuU751rOk5O.jpg)
ভূমি পেদনেকর
একটি জাতির মহত্ত্ব ও তার নৈতিক অগ্রগতি বিচার করা যায় সেই জাতি তার প্রাণীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে সেই প্রেক্ষিতে। অপর পোস্টে তিনি একটি পথকুকুরের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'আমরা ওদের যোগ্য নেই।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/30/x0n8dSkkEZtkn68vSdJf.jpg)
ভীর দাস
আপনি যদি দিল্লির বাসিন্দা হন তবে আমি আপনাকে রাজি করাতে পারি রাস্তায় থাকা অন্তত একটি, কিংবা একাধিক দেশি কুকুর দত্তক নিতে। এরা অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান, কম খরচে পরিচর্যা সম্ভব, আর আপনাকে এমন ভালবাসা, স্নেহ ও কৃতজ্ঞতা দেবে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। একই সঙ্গে অনুরোধ করছি আপনার নিকটবর্তী প্রাণীকল্যাণ সংস্থাকে আন্তরিকতা ও উদারতার সঙ্গে সহায়তা করুন। আমি নিজেও তারই পরিকল্পনা করেছি এবং আশা করি আপনিও করবেন। আদালতে আবেদন ও আইনি প্রক্রিয়া একটু সময়সাপেক্ষ। কিন্তু আমাদের মানবিকতা যেন এখনই সক্রিয় হয়, এটা ভীষণ জরুরি। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট বা বড়, যেভাবেই হোক অবদান রাখুন। যৌথ উদ্যোগেই পরিবর্তন আসবে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/06/GhcY2YZDA86KqMC1H4JT.jpg)
রবিনা ট্যান্ডন
যেখানে দেশি কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে, সেখানে দোষ দেওয়া উচিত নয় এই অসহায় প্রাণীদের। এর অর্থ হল স্থানীয় প্রশাসন টিকাকরণ ও বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি সঠিকভাবে পরিচালনা করছে না। যদি সেই উদ্যোগ সফল হত কিংবা প্রয়োজনীয় অর্থ ও পরিকাঠামো যথাযথভাবে ব্যবহার করা হত তাহলে আমরা এই পরিস্থিতিতে পৌঁছাতাম না। নিজেদের এলাকায় পথকুকুরদের দায়িত্ব স্থানীয় সংস্থারই, আর বর্তমানে জরুরি প্রয়োজন হলো ব্যাপক পরিসরে বন্ধ্যাকরণ।