মে মাসে ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে কর্মক্ষেত্র। লকডাউন, করোনা, আর্থিক জট এই সবের জাঁতাকলে পড়ে সুনিশ্চিত চাকরি হাতছাড়া হয়েছে অনেকের। যেমন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রিদ্ধি শর্মা। বেঙ্গালুরুতেই চাকরি করতেন কিন্তু লকডাউনের জেরে ছ'মাস বেকার ছিলেন। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও কাজ পাচ্ছিলেন না। তবে উৎসবের মরসুমে ভাগ্যে বদল আসে। ফ্লিপকার্টে ডিজিট্যাল মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট পদে চাকরি পান।
একই চিত্র কলকাতাতেও। গোপাল রাম অনেক বছর ধরেই সুইগি ফুড ডেলিভারীতে কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউনে কাজ চলে যায়। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছ'মাস বাড়িতে বেকার বসে থাকতে হয়। কিন্তু বদল আনল উৎসবের মরসুম। বর্তমানে অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন গোপাল। তবে চাকরি ক্ষেত্রে একেবারে যে উদ্বেগ নেই ঠিক তা নয়। যেমন অল্প বেতন এবং চুক্তিভিত্তিক কাজেই লোক নিয়োগ চলছে।
রিদ্ধি জানালেন আগের কোম্পানির পারিশ্রমিকের তুলনায় রায় ১০ হাজার টাকা কম উপার্জন করছেন তিনি। রিদ্ধি বলেন, “প্রতি বছর, দিওয়ালি, স্বাধীনতা দিবস বা ক্রিসমাসের সময়, হাজার হাজার কাজ বিশেষত ই-কমার্স, ফিনটেক এবং খুচরা সংস্থাগুলিতে কাজের সুযোগ হয়। তবে, তারা খুব কমই কর্মচারীদের ধরে রাখেন ভবিষ্যতের জন্য। যা উদ্বেগজনক। আমি তাই অন্য একটি কাজের ইন্টারভিউয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি।"
এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সংস্থা বেটারপ্লেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে কর্মীদের জন্য প্রায় ১৪ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং যোগ করা হয়েছে সামগ্রিক চাহিদার ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজের সন্ধান দেয় এমন ওয়েবসাইটের সমীক্ষা জানাচ্ছে মহামারীর পর উৎসব মরসুমে চুক্তি বা অস্থায়ী চাকরির ক্ষেত্রে ১১৯ শতাংশ পদ বৃদ্ধি হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন